নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার সকালে কাশ্মীরের সোপিয়ানে তিন পুলিসকর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। এরপরই আতঙ্ক ছড়াল রাজ্য পুলিস মহলে। আতঙ্কে দক্ষিণ কাশ্মীরে চাকরি ছাড়লেন ৪ পুলিসকর্মী। ওই ৪ পুলিসকর্মীর মধ্যে রয়েছেন একজন কনস্টেবল ও ৩ জন স্পেশাল পুলিস অফিসার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ করে তাঁরা তাঁদের ইস্তফার কথা জানিয়ে দিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস' পালন করা হবে না : পার্থ


দক্ষিণ কাশ্মীরের সামুনা গ্রামের সাবির আহমেদ থোকার চাকরি করতেন একজন স্পেশাল পুলিস অফিসার হিসেবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, গত ৮ বছর ধরে আমি পুলিসের এসপিও হিসেবে কাজ করছিলাম। কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আর পুলিসের আমার কোনও সম্পর্ক নেই। এই ভিডিওর মাধ্যমে আমি রাজ্য পুলিসের কাজ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।


উল্লেখ্য, স্পেশাল পুলিস অফিসাররা হলেন রাজ্য পুলিসের অস্থায়ী কর্মী। মাসে এরা ৫০০০-৬০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। জম্মু ও কাশ্মীরে এরকম বহু পুলিসকর্মী রয়েছেন।


সোপিয়ানে ওই ৩ পুলিসকর্মী খুন হওয়ার পর রাজ্য পুলিসের অস্থায়ী কর্মীরাই শুধু চাকরি ছাড়েননি। বরং স্থায়ী পুলিস কর্মীরও ইস্তফা দিয়েছেন। ইরশাদ আহমেদ বাবা নামে এক পুলিসকর্মীও ঘোষণা করেন, পুলিসের কনস্টেবল হিসেবে এতদিন কাজ করতাম। আজ থেকে আর পুলিসের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। এখনই আমি ইস্তফা দিচ্ছি।


শুক্রবার সকালে সোপিয়ানে ৪ পুলিসকর্মীকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে একজন ছাড়া পেয়ে পালায। বাকি ৩ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। মনে করা হচ্ছে এর পেছেন হিজবুল মুজাহিদিনের হাত রয়েছে। ওই খুনের পরই দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলিসের চাকরি ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়।


আরও পড়ুন-‘মুখে কালো কাপড় বেঁধে গুলি চালিয়েছে পুলিস’, বুলি আউড়াচ্ছেন তাপসের মা


উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে নিয়োগ করা হয়েছে ১ লাখেরও বেশি পুলিসকর্মী। এর মধ্যে গত ২৮ বছরে মৃত্যু হয়েছে ১৬৫৫ পুলিসকর্মী ও ৫০০ স্পেশাল পুলিসের। এবছরই ২৭ পুলিসকর্মী ও ৭ স্পেশাল পুলিস অফিসার খুন হয়েছেন জঙ্গিদের হাতে। পাশাপাশি মারা গিয়েছেন ৬৪ জন জওয়ান। নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে খুন হয়েছে ১৪০ জঙ্গি।