নিজস্ব প্রতিবেদন- ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার নামে আসলে চলত অন্য কারবার! দক্ষিণ কাশ্মীরের সোফিয়া জেলার একটি মাদ্রাসা গত কয়েকদিন ধরেই ছিল পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনীর নজরের কেন্দ্রে। সূত্র মারফত পুলিস খবর পেয়ে ছিল, ওই মাদ্রাসা থেকেই হিজবুল মুজাহিদীন, লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনে সম্প্রতি ১৩ জন কমবয়সী ছেলেকে রিক্রুট করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল, গত বছর পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হানার সঙ্গে যুক্ত সাজ্জাদ ভাটও ওই মাদ্রাসার মাধ্যমেই সংগঠনে যোগ দিয়েছিল। পুলওয়ামা, কুলগাঁও, সোপিয়ার মতো এলাকা থেকে বহু ছাত্র ওই মাদ্রাসায় পড়তে আসত। এমনকী উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, তেলেঙ্গানার বহু ছাত্রও কাশ্মীরের ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করার জন্য নাম লিখিয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, সিরাজুল উল ইমাম সাহেব নামের ওই মাদ্রাসা আসলে জঙ্গি তৈরীর কারখানা হয়ে উঠেছিল। জামাতে ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে ওই মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে নজরে রাখার পর শেষমেষ মাদ্রাসা থেকে তিনজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিস। আরও পাঁচ থেকে ছজন স্কুলশিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কের জন্য তাঁদেরও যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার করা হতে পারে। গোপন সূত্র মারফত পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনী খবর পেয়েছিল, সাম্প্রতিককালে মোট ১৩ জন কমবয়সী ছেলে ওই মাদ্রাসা মারফত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আর তারপরই দক্ষিণ কাশ্মীরের ওই মাদ্রাসার উপর কড়া নজর রাখতে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় তদন্ত।


আরও পড়ুন-  ফের জঘন্য অপরাধ উত্তরপ্রদেশে! একসঙ্গে আক্রান্ত তথাকথিত দলিত পরিবারের তিন বোন


জানা গিয়েছে ওই মাদ্রাসা থেকেই আল বদ্রু জঙ্গী সংগঠনের কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিল জুবের নিগ্রু। ওই মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন ছাত্র জঙ্গি সংগঠন গুলির গ্রাউন্ড ওয়ার্কার হিসেবেও কাজ করত বলে খবর পেয়েছিল পুলিস। অর্থাৎ নাশকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি এলাকার কমবয়সী ছেলেদের ব্রেনওয়াশ করে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ চালাত তারা।