নিজস্ব প্রতিবেদন: তার বিরুদ্ধে ছিল ১৪ জনকে খুন করার অভিযোগ। পাশাপাশি বন দফতরও তাকে  গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশই শেষপর্যন্ত কার্যকর করা হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার রাতে গুলি করে মারা হল মহারাষ্ট্রের ইয়াভাটমাল এলাকার ত্রাস অবনিকে। মানুষখেকো বাঘিনী অবনির নাম দেওয়া হয়েছিল টি ১। ২০১৬ সাল থেকে মহারাষ্ট্রের ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল অবনি।



আরও পড়ুন-তিন তিনবার লোডশেডিং, রেগে আগুন মুখ্যমন্ত্রী! কোপে ৩ আধিকারিক  


গত কয়েক মাস ধরেই ওই বাঘিনীকে জীবন্ত ধরা বা গুলির করে মারার চেষ্টা চলছিল। এর মধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসে অবনিকে গুলি করে মারার নির্দেশ দেয় বন দফতর। এর পরই ওই ঘাতক বাঘিনীকে খোঁজার জন্য ডাকা হয় শ্যুটার নবাব শাফাতকে। এনিয়ে নাগপুর সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও দেখান পশুপ্রেমীরা। সেসব কথা কান না দিয়ে চলছিল তল্লাশী অভিযান।


গত মাসে নবাব ছুটিতে চলে যান। এরমধ্যেই ওই বাঘিনীর খোঁজ করার জন্য সেনা ডাকার দাবি করে কংগ্রেস। তার পরেই ছুটি কেটে ফের তল্লাশী অভিযানে যোগ দেন শ্যুটার নবাব। আনা হয় ডগ স্কোয়ার্ড ও প্যারা গ্লাইডারকে। অবশেষে গত শুক্রবার সাফল্য পায় তল্লাশী দল। অবনিকে গুলি করে মারে নবাবের ছেলে আসগর আলি।



আরও পড়ুন-যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ তৈরির বনজ ছত্রাক উদ্ধার! দাম কোটি টাকা ছাড়িয়ে


অভিযোগ, গতবছরই ৫ জনকে খুন করে অবনি। ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত তার হাতে খুন হয়েছে মোট ১৪ জন। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের খবর, অবনির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে নাগপুরের গোরেওড়া রসকিউ সেন্টারে।


প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের একটি হিসেব মতো দুনিয়ার অর্ধেক বাঘের আবাসস্থল ভারতের বিভন্ন জঙ্গল। দেশে এখন বাঘের সংখ্যা ২,২২৬। সাধারণভাবে চোরা শিকারিদের হাতে বহু বাঘ মারা যায় প্রতি বছর। এবার রীতিমতো আদালতের অর্ডার বের করে মারা হল এক বাঘকে।