নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েক বছর ধরেই দল ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নাগাড়ে বলে আসছিলেন পাটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। এমনটাই খবর দলীয় সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন অবশেষে দলের কর্তাদের রোষের মুখে বিহারি বাবু? কারণ খুবই সোজা। শনিবার তৃণমূলের নেতৃত্বে ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়ে দলকে চোখা চোখা ভাষায় আক্রমণ বিজেপি সাংসদের। দলের একাংশের অভিমত সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন শত্রুঘ্ন।


আরও পড়ুন-সিপিএম-এর শেষকালেও এর চেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল ব্রিগেডে : দিলীপ


সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে বিজেপির এক শীর্য নেতার দাবি, এবার শত্রুঘ্নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। সম্ভবত তাঁকে বরখাস্তও করা হবে। অমিত শাহ এইমস থেকে ছাড়া পেলেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল। এনিয়ে আগেই দলের মুখপাত্র রাজীব প্রতাপ রুড়ি সংবাদসংস্থাকে জানান, শত্রুঘ্ন সুযোগ সন্ধানী। বিজেপি বিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।


রুড়ি আরও অভিযোগ করেন, সাংসদ হিসেবে শত্রুঘ্ন সব ধরনের সুবিধে নিয়ে চলেছেন। কিন্তু দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে ছাড়েননি। উনি খুবই ধূর্ত। গত পাঁচ বছরে ওকে দলের কোনও কাজে দেখিনি। নিজেকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করেন আর বিরোধীদের মিটিংয়ে বক্তৃতা দেন। আশাকরি দল তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে, বিহার বিজেপির সভাপতি নিত্যানন্দ রাইও ইঙ্গিত দেন, শত্রুঘ্নের বিরুদ্ধে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। ঠিক সময়েই তা নেওয়া হবে।


উল্লেখ্য, এদিনে কড়া ভাষায় কেন্দ্রের নীতির সমালোচনা করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর লক্ষ ছিল খোদ মোদী। এদিন তিনি বলেন, “ব্যক্তির থেকে দল বড়। দলের থেকে বড় দেশ। আমি দেশের জন্য কাজ করছি। অর্থাত্ আমি দলের হয়েই কাজ করছি। দলকে আয়না দেখাচ্ছি। লোকতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।”


আরও পড়ুন-'অ্যালোপ্যাথি নন, মোদী ঠাকুমার ন্যাচারাল বড়ি', মমতাকে জবাব দিলীপের


নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “তুঘলকি কায়দায় কেন রাতারাতি নোট বন্দি করা হল? এতে কিষাণ, মজদুরের উপর কী প্রভাব পড়বে, আপনি জানতেন? এটা দলের সিদ্ধান্ত ছিল না। যদি দলের সিদ্ধান্ত হত, তা হলে মার্গদর্শক লালকৃষ্ণ আডবাণী জানতেন। মুরলী মনোহর যোশী জানতেন। এটিএম লাইনে লোক মরেছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। বাড়ির মা বোনেরা, যারা সারা জীবন ধরে টাকা জমিয়েছেন, সেই টাকা হাওয়া হয়ে গেল। নোটবন্দি নিয়ে জানতেন না অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলিও। এটা প্রধানমন্ত্রীর একার সিদ্ধান্ত ছিল।”