নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা সর্বদল বৈঠক এড়িয়ে গেল তৃণমূল। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই নয়, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টিও অনুপস্থিত বৈঠকে। আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে না গিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়ন করতে চান নরেন্দ্র মোদী। গতবারই জি মিডিয়ায় সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বারবার নির্বাচন হওয়ায় সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে। থমকে যাচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজ। তার সমাধান,   বিধানসভা, লোকসভা ও স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েট ভোটগ্রহণ একসঙ্গে করা দরকার। সেই লক্ষ্যেই দ্বিতীয়বার ফিরে এসেই সর্বদল বৈঠক ডাকেন মোদী। বুধবার বৈঠকে যোগ দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লা, অকালি দলের সুখবীর সিং বাদল, বিজেডি সুপ্রিমো তথা ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, পিডিপি-র মেহবুবা মুফতি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সর্বদল বৈঠকে রয়েছেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নিতিন গডকড়ী ও জগত্প্রসাদ নাড্ডা। 



তবে বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী, টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, টিআরএস প্রধান কেসি চন্দ্রশেখর রাও, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে প্রধান এমকে স্টালিন। কেজরিওয়াল না এলেও রাঘব চাড্ডাকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন। জয়দেব গাল্লা প্রতিনিধিত্ব করছেন চন্দ্রবাবুর টিডিপি-র। 


মায়াবতী দাবি করেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের পরিবর্তে ব্যালটে ভোট নিয়ে আলোচনা হলে নিশ্চিতভাবে বৈঠকে থাকতেন। ইভিএম এখন গনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিপদ। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের কথায়,'যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে ওরা, সেগুলির বাস্তবায়নে আগে মন দিক'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেন, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে এত অল্প সময়ে আলোচনা করা যায় না। এ নিয়ে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ও সব দলের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। শ্বেতপ্রকাশেরও দাবি করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। 



নিজের ছেলে তথা দলের নেতা কেটি রামা রাও-কে বৈঠকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠালেও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। কেসি রাওয়ের কথায়,''বৈঠকে গিয়ে কোনও লাভ নেই। আগেই বলেছি, ফ্যাসিস্ত সরকার চালায় মোদী। এক টাকাও রাজ্যের জন্য দেয়নি কেন্দ্র''। বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী।  


'এক দেশ, এক নির্বাচন' বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধানের সংশোধন করতে হবে। সেটা করতে হলে রাজ্যসভা ও লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন দরকার নরেন্দ্র মোদীর। সেজন্যই বিরোধীদের পাশে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। 


আরও পড়ুন- মিস ইন্ডিয়া হেনস্থাকাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারা, তদন্ত কমিটি গড়ল পুলিস