বিরোধী ঐক্য গড়েই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ! হিংসাদীর্ণ মণিপুরে তৃণমূল
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগে যখন দিল্লি থেকে বাংলায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, তখন মণিপুরে যাচ্ছে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম! বুধবার সকাল ১০ টায় কলকাতা থেকে মণিপুর সফরে যাবেন প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের থাকছেন দলের তিন সাংসদ ডেরেক ও`ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, দোলা সেন-সহ আরও ২ জন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার মণিপুর পৌঁছবেন তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিনিধি দল। বুধবার সকাল ১০ টায় কলকাতা থেকে মণিপুর সফরে যাবেন প্রতিনিধি দল। বেলা ১১.২০ মিনিটে ইম্ফলে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। ডেরের ও'ব্রায়েনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল মণিপুর যাচ্ছেন। সেই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ড. কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব।
আরও পড়ুন, India’s Women-only Masjid: ভারতে প্রথম! তৈরি হচ্ছে শুধু মহিলাদের জন্য; কোথায় আছে এমন মসজিদ?
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগে যখন দিল্লি থেকে বাংলায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, তখন মণিপুরে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে তৃণমূল! ৩ মাস পার। এখনও উত্তপ্ত মণিপুর। কেন? মেইতে জাতিগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতিভুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করেই অশান্তির সূত্রপাত। আদালতের এই রায় মানতে নারাজ রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানুষ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে হিংসা অব্যাহত। সেই মণিপুরেই এবার যাচ্ছে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
গোষ্ঠী সংঘর্ষে বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত মণিপুর। বাড়ছে ঘরছাড়াদের সংখ্যাও। মণিপুরে গত কয়েক মাস ধরেই কুকি ও মেইতেই মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলছে। এখনও তা থামেনি। বরং দিনের পর দিন অশান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে। ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছে সরকার! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তফসিলি উপজাতিদের তালিকাভুক্ত হওয়াই মেইতেই সম্প্রদায়ের দাবি। মেইতেইরা মণিপুরের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫৩ শতাংশ। এঁরা মূলত ইম্ফল উপত্যকাতেই থাকেন। নাগা আর কুকি'রা মণিপুরের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ শতাংশ। এঁরাও মণিপুরের পাহাড়ি উপত্যকা অঞ্চলে থাকেন। মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তর তালিকায় আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। এর পরেই নতুন করে উত্তপ্ত হয় এই রাজ্য।
হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিবাদে চূড়াচাঁদপুর জেলার তোরবাঙে 'অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর' (এটিএসইউএম) 'আদিবাসী সংহতি পদযাত্রা'র ডাক দিয়েছিল। সেখান থেকেই হিংসার সূত্রপাত হয়। সেই সূত্রপাত-মুহূর্ত থেকেই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন এই হিংসার বলি হয়েছেন।
আরও পড়ুন, Opposition Alliance: 'বিজেপির সঙ্গে এবার I.N.D.I.A-র লড়াই হবে, দেখে নেব', জোটের মঞ্চে হুঙ্কার মমতার