নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বুধবার রাতে সুরমা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন এলাকার মানুষ। এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তাদের আশ্রিত গুণ্ডারা সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া পরিবারের উপর হামলা করেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার ত্রিপুরার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানানো হয়েছে।অন্যদিকে পুলিসের কাছে তারা চিঠি দিয়ে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। এফআইআর-এ তাদের দাবি ঘটনা চলাকালীন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা একটি আট বছরের বাচ্চাকেও আক্রমণ করে। 


আক্রান্তদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের যে প্রতিনিধি দল যায়, সেই দলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ত্রিপুরার অবজার্ভার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, সায়নী ঘোষ, ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।


তৃণমূলের ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক জানিয়েছে ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতৃত্বকে রোজই আক্রান্ত মানুষের কাছে ছুটে যেতে হচ্ছে। মানুষকে বিজেপি আক্রমণ করছে রোজ। তিনি বলেন বুধবার তৃণমূল সমর্থকদের ঘরে ঢুকে কোপানোর পিছনে একমাত্র কারণ তারা বুধবার তৃণমূলে যোগদান করে।    


তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন গত বেশ কিছুদিনে এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন তৃণমূল বার বার নির্বাচন কমশনকে এই কথা জানালেও নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  


রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন এরম ঘটনা এর আগেও বহুবার ঘটেছে। তৃণমূলের তরফে বার বার পুলিসকে এই ধরনের ঘটনার কথা জানানো হলেও পুলিসের তরফে তৃণমূলের কোনও আফএইএর-র ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে তারা এফআইআর করলে তাদের কর্মীদেরই পুলিস ধরেছে বলেও দাবি করা আহয় তৃণমূলের তরফে।  


বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ছয় জন সাংসদ ইলেকশন কমিশনে একটি স্মারকলিপি জমা দিতে যান। গতকাল রাতে ত্রিপুরায়  বিজেপির নারকীয় ধ্বংসলীলা চালানোর ঘটনার প্রতিবাদে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন, অধ্যাপক সৌগত রায়, ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শ্রী জহর সরকার, শ্রীমতি প্রতিমা মণ্ডল, শ্রী লুইজিনহো ফেলারিও এবং সাংসদ নুসরত জাহান রুহি। 


আরও পড়ুনঃ National Herald: রাহুল গান্ধীকে ইডি-র জেরার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক কংগ্রেসের


তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরায় ভয়াবহ সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন বুধবার রাতে সুরমাতে হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অপরাধে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন ত্রিপুরায় গণতন্ত্র হত্যা শুরু হয়েছে।


কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ত্রিপুরায় প্রকৃত বিকল্প হিসাবে উঠে আসছে তৃণমূল। স্বতঃস্ফূর্ত উন্মাদনা দেখা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখে। সায়নী ঘোষ, সুস্মিতা দেব, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, রাজীব ব্যানার্জিআহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন এবং আগামীকাল থেকে তৃণমূলের নেতৃত্ব সকলে যাবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন ২০ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুরমাতেই যাবেন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)