নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার প্রতিরোধে দেশবাসীকে রবিবার জনতা কার্ফুতে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস। তবে ভিন্নসুর তৃণমূল ও সিপিএমের। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন জানান, বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে সরকারের পাশে রয়েছে বিরোধীরা। মোদীর ঘোর বিরোধী চিদম্বরমও টুইট করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েনের কটাক্ষ, এটা গিমিক? সমাধানের পথই নেই। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর নিদানে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব নয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেন, ''এই বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে সরকারের পাশে রয়েছে বিরোধীরা।'' প্রবল মোদীবিরোধী পি চিদম্বরমও সমর্থন দিয়েছেন। তিনি টুইট করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করা আমার কর্তব্য। কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ও তার পরের দিনগুলিতেও দায়িত্ব পালন করব। 



তবে নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা খুশি হয়নি সিপিএম-তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করেছেন,''সংসদের অধিবেশন চলছে। এটা কি গণতন্ত্রের মন্দির নয়? মুখ্যমন্ত্রীরও টিভিতে দেখছেন। ক্রনোলজি? আজকে ঘোষণা। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা। এটাই কি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো? চূড়ান্ত লোকদেখানো? সমাধান নেই।''          



সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের প্রতিক্রিয়া, প্রধানমন্ত্রীর নিদানে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব নয়। প্রতিদিন খেটে খাওয়া অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের কী হবে, একবারও বললেন না প্রধানমন্ত্রী। করোনা মোকাবিলায় সতর্ক ও সুরক্ষিত থাকতে হবে অবশ্যই, কিন্তু একদিনের 'জনতা কারফিউ' এবং তালি বাজিয়ে সমস্যার সমাধান কি সম্ভব?


সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অভিমত, কেরলে ২০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এক মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। পেনশনভোগী, অটো ও বাস চালকদের জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। কেন এই ধরনের ঘোষণা করলেন না প্রধানমন্ত্রী? শাটডাউনের ফলে ভোগান্তি হবে গরিব ও প্রান্তিক মানুষদের। 


আরও পড়ুন- করোনা ভয়ঙ্কর হলে লকডাউন? রবিবার 'জনতা কার্ফু' আসলে নমোর রিহার্সাল?