শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: পার্থর ক্ষেত্রে ঘটেনি। কিন্তু অনুব্রত ও কেষ্টকন্যার ক্ষেত্রে এবার উলটপুরাণ! অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে তিহাড় যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। জেলে গিয়ে কেষ্ট ও কেষ্টকন্যার সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। ২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন দোলা সেন ও অসিত মাল। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম দলের তরফে কেউ জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার সকালে দেখা করার সময় নির্দিষ্ট হয়েছে। মাত্র এক ঘণ্টার জন্য অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এঘটনা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর উপর থেকে কার্যত 'হাত ধুয়ে ফেলে' তৃণমূল। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তারপর দল থেকেও তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের সময় তেমনটা ঘটেনি। এখনও তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পদে বহাল। তাঁকে সাংগঠনিক পদ থেকেও সরায়নি তৃণমূল। আর দল থেকে বরখাস্ত করার তো প্রশ্ন-ই ওঠে না! বরং, দল যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনকি কেষ্টহীন বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই আরও জোরদার করার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেষ্টহীন বীরভূমকে দেখভালের দায়িত্ব নিজে হাতে নিয়েছেন দলনেত্রী।


এই পরিস্থিতিতে তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে তৃণমূল প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহল মহলের। দল যে কেষ্টর পাশেই আছে, সেই বার্তাই যেন আরও জোরালো করা হল। প্রসঙ্গত, গত বছর ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুরের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে সিবিআই। গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। ওদিকে অনুব্রত মণ্ডল ক্রমাগত তদন্তে অসহযোগিতা করে চলেন বলেও অভিযোগ সিবিআই-এর। এরপর ১৭ নভেম্বর, আসানসোল সংশোধানাগারে ম্যারাথন জেরার পর গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডিও। 


তারপর দীর্ঘ আইনি লড়াই পেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। সেই থেকে দিল্লির তিহাড় জেলেই আছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওদিকে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও একই মামলায় দিল্লিতে তলব করে ইডি। প্রথমে বেশ কয়েকবার হাজিরা এড়ান কেষ্টকন্যা। শেষে চলতি বছর ২৬ এপ্রিল হাজিরা দেন দিল্লিতে ইডি দফতরে। শেষে সেদিন টানা জেরার পর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে ইডি। সেই থেকে সুকন্যা মণ্ডলও রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। দুর্নীতির দায়ে বাবা-মেয়ে 'যুগলবন্দি'তে এখন তিহাড়ের বাসিন্দা! 


আরও পড়ুন, আলোচনা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ রাজভবনের, নতুন করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)