জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভার স্পিকার পদের জন্য লড়াই। একদিকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী ওম বিড়লা। আরেকদিকে কংগ্রেস  দাঁড় করিয়েছে কে সুরেশকে। এই কে সুরেশকে প্রার্থী করা  নিয়েই কংগ্রেস-তৃণমূল একটু 'অসন্তোষ' দানা বেঁধেছিল। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয় তৃণমূল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, 'স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। তৃণমূলকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ধরে নেওয়া হয়েছে।' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও বলেন যে, কে সুরেশকে স্পিকার পদে প্রার্থী করা নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। তাদেরকে কিছু জানানোও হয়নি। এটা সবটাই 'ইউনিল্যাটেরাল' বা 'একতরফা' সিদ্ধান্ত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপরই সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে পাশাপাশি বসে আলোচনায় মগ্ন হতে দেখা যায় রাহুল-অভিষেককে। রাহুল-অভিষেক 'বৈঠকে'র পরই ওয়াকিবহল মহলে প্রশ্ন ওঠে বিরোধীদের প্রার্থী, ৮ বারের সাংসদ কে সুরেশকেই কি তাহলে সমর্থন করতে চলেছে তৃণমূল? এরপর সন্ধ্যায় ইন্ডিয়া ব্লকের জরুরি বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও' ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই বৈঠকের পরই 'সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে' বলে জানানো হয়। স্পিকার পদে ভোটাভুটি কংগ্রেস মনোনীত বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী কে সুরেশকে সমর্থনে শিলমোহর দেয় তৃণমূল। 



স্পিকার পদে সরকার ও বিরোধীপক্ষ ঐকমত্য না হওয়াতেই ভোটাভুটি জরুরি হয়ে পড়ে। বিরোধীরা চেয়েছিল ডেপুটি স্পিকারের পদটি তাদের দেওয়া হোক। কিন্তু এই নিয়ে তাদের অবস্থা স্পষ্ট করেনি সরকারপক্ষ। ঐকমত্য না হওয়াতেই বিরোধীরা ওম বিড়লার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে ৮ বারের সাংসদ কে সুরেশকে। এর আগে ৩ বার স্পিকার পদের জন্য ভোটাভুটি হয়েছিল। ১৯৫২, ১৯৬৭ ও ১৯৭৬ সালে লোকসভা স্পিকার পদের জন্য ভোট নেওয়া হয়েছিল। ফের ৪৮ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। যদিও সংসদে সরকার পক্ষ ও বিরোধীদের যা সংখ্য়া তাতে সহজেই নির্বাচিত হওয়ার কথা ওম বিড়লার। কারণ সংসদের এনডিএর সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের সদস্য সংখ্যা ২৩২।


আরও পড়ুন, Soumitra Khan: গ্রেফতার হতে পারেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ!



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)