ওয়েব ডেস্ক: 'স্বচ্ছ ভারত' অভিযানের তদারকিতে বেরিয়ে চক্ষু ছানাবড়া সরকারি আধিকারিকের। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার বদরবাসে এক পরিবার প্রকল্পের অধীনে তৈরি শৌচাগারে রীতিমতো চলছে রান্নাবান্না। শুনে পেটের ভাত উঠে এলেও একেবারে সত্যি এই ঘটনা। আর বাড়িতে শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও এখনো মাঠেই নিবৃত্ত হতে যান পরিবারের সদস্যরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার বদরবাস ব্লকের বামৌর খুর্দ গ্রামের কুন্ডাই গ্রামে এই ঘটনা যদিও বিচ্ছিন্ন নয়। সরকারি সহায়তার ১২ হাজার টাকা দিয়ে বাড়িতে শৌচাগার বানিয়েছেন অনেকেই, কিন্তু ব্যবহার হয় না। প্রয়োজনের তাগিদে সেই শৌচাগার বদলে গিয়েছে কখনও রান্নাঘর বা কখনও মুদি দোকানে। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে এক পঞ্চায়েত কর্মীর। শৌচাগার থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে খোঁজ নেন তিনি। শৌচাগারে রান্নাবান্না চলছে বুঝে তিনি খবর দেন 'স্বচ্ছ ভারত' অভিযানের আধিকারিককে। 


আরও পড়ুন - জাতীয় সড়কে ধস, চোখের সামনে চাপা পড়ল ৭টি গাড়ি, দেখুন ভিডিও


খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় 'স্বচ্ছ ভারত' আধিকারিক দলবল নিয়ে গ্রামে পৌঁছন। সেখানে গিয়ে দেখেন লখন প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি শৌচাগার থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখা যায়, মাটির উনুনে চলছে রান্না। উনুনের ধোঁয়ায় কালি পড়েছে শৌচাগারের দেওয়ালে। পরিবারের প্রধানকে ডেকে শৌচাগারের অপব্যবহারের জন্য শাস্তি পেতে হতে পারে বলে জানান ওই আধিকারিক। সঙ্গে গ্রামে কারা শৌচাগারের অপব্যবহার করছে তারও সূচি তৈরি করতে বলেছেন তিনি। সতর্ক করেছেন, এমনটা চলতে থাকলে শৌচাগার তৈরি বাবদ মেলা ১২০০০ টাকা উদ্ধার করে ছাড়বেন তিনি।