নিজস্ব প্রতিবেদন: হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা বিজেপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুরলী মনোহর জোশী! জল্পনা ছিল, লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতোই রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে পারেন এই দুঁদে রাজনীতিক। তাঁদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও প্রশ্ন ওঠে। সেই জল্পনা সত্যি করে ক্ষোভ উগরে দিলেন ৬ দশকের বেশি সময় ধরে রাজনীতিতে থাকা জোশী। কানপুরের সাংসদ তাঁর ভোটারদের খোলা চিঠি দিয়ে জানান, কানপুর বা অন্যান্য কেন্দ্র থেকে ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তাব দেওয়া হয় বিজেপির জেনারেল সেক্রিটারি রামলালের মাধ্যমে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সূত্রের খবর,  এই প্রস্তাব জেনারেল সেক্রেটারির রামলালের মাধ্যমে দেওয়ায় তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে সেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোটে না দাঁড়ানোর প্রস্তাব বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কাছ থেকে এলে বিষয়টি সম্মানজনক হত। সূত্রের খবর, এলকে আডবাণীও বিজেপির সিদ্ধান্তে খুশি নন। মোদী-অমিত শাহেরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলন, ৭৫ বছরের উর্ধ্বে প্রার্থীদের ভোটের টিকিট দেওয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্তেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, কৌশলেই কি আডবাণী, মনোহর জোশীদের এক ঘরে করে হচ্ছে?



আরও পড়ুন- জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য দিতে চান বিজয় মালিয়া


২০১৪ সালে নিজের কেন্দ্র বারাণসী মোদীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী ক্যাবিনেটের মন্ত্রী জোশী। তবে, বারাণসীর বদলে কানপুরে তাঁকে প্রার্থী করা হলে প্রায় দু লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হন জোশী। ইলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে ৩ বার সাংসদ ২০০৪ সালে সপা প্রার্থীর কাছে সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। দলের সাধারণ সচিব, কোষাধ্যক্ষ থেকে সভাপতি- সব পদেই জোশী দক্ষতার সঙ্গে সামলে এসেছেন। তবে, মোদীর ক্ষমতায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, জোশী-সহ কয়েক জন প্রবীণ বিজেপি নেতাদের নিয়ে তৈরি হয় মাগদর্শক মণ্ডল। ইতিহাস বলছে, গত পাঁচ বছরে জোশীদের মাগদর্শনের প্রয়োজন হয়নি মোদী-অমিতের।