নিজস্ব প্রতিবেদন- কৃষক আন্দোলনের (Farmer's Agitation) ৪৩তম দিন। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা, তার মধ্যে বৃষ্টি, কোনও কিছুই কৃষক আন্দোলনের গতি রোধ করতে পারছেন না। কৃষকরা অনড়। সরকার তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে এই আন্দোলন চলবে। শেষ না দেখে ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কৃষকরা। তবে আন্দোলনের গতিপথ এবার কিছুটা পরিবর্তনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন কৃষকরা। আজ কয়েক হাজার ট্রাক্টর নিয়ে রাজধানী ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। সরকারের টনক নাড়াতে এই পন্থা কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছে কৃষক সংগঠনগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামীকাল সরকারের সঙ্গে অষ্টম দফায় বৈঠকে বসবে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু তার আগেই সরকারের উপর  চাপ বাড়াতে চাইছেন কৃষকরা। আর তাই আজ ট্র্যাক্টর মিছিলের (Tractor March) ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সিংঘু, টিকরি, গাজিপুর, শাহজাহানপুর সীমান্তে কয়েক হাজার ট্রাক্টর এসে জড়ো হয়েছিল গতকাল থেকে। হরিয়ানা ও রাজস্থান সীমান্তেও কয়েক হাজার কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। কুন্ডলি- মানেসার-পলবল এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এদিন ট্রাক্টর মার্চ এগোল। ইস্টার্ন পেরিফেরল অক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এদিন বন্ধ ছিল সকাল থেকেই। 


আরও পড়ুন-  ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার নিন্দা করলেন নরেন্দ্র মোদীর


কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সরকার তাদের দাবি না মানলে ২৬ শে জানুয়ারিও ট্র্য়াক্টর মিছিল করবেন তারা। আজকের মিছিল শুধু ট্রেলর। সেদিন আরও বড় ট্রাক্টর মিছিল হতে পারে। হরিয়ানার কিষাণ সংগঠনগুলি প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত দশজন করে মহিলাকে ২৬শে জানুয়ারি দিল্লিতে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এরই মধ্যে Punjab CM অমরিন্দর সিং কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। এদিন গাজিয়াবাদের এডিএম শৈলেন্দ্র কুমার সিং জানিয়েছেন, ট্রাক্টরগুলি নয়ডা পৌঁছে আবার গাজীপুর সীমান্তে ফিরে আসবে।