হাথরসে পথে তৃণমূল সাংসদের প্রতিনিধিরা, পথ আটকালো যোগী পুলিস
একদিকে রাজধানীর পথে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, অন্যদিকে হাথরসে পৌঁছানোর চেষ্টায় তৃণমূল কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরসের আঁচ দিল্লিতে। হাথরসে পৌঁছানোর আগেই তৃণমূল সাংসদের দলের প্রতিনিধিদের পথ আটকালো যোগী রাজ্যের পুলিস। রাস্তায় বসে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আজ মাটিতে পুলিসের ধাক্কায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল প্রতিনিধি ডেরেক। দফায় দফায় বিক্ষোভ একাধিক এলাকায়। ইন্ডিয়া গেটে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। হাথরসে নেতাদেরও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। মিডিয়াকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামে ঢোকার মুখে বাধা দেওয়া হয়। ইন্ডিয়া গেটের সামনে জমায়েত যাতে না হয় তার জন্য সক্রিয় দিল্লি পুলিশ। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতা ঠাকুর ( প্রাক্তন সাংসদ ) , প্রতিমা মন্ডল । সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, একদিকে রাজধানীর পথে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, অন্যদিকে হাথরসে পৌঁছানোর চেষ্টায় তৃণমূল কংগ্রেস।
হাথরসে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আজও প্রবেশ নিষেধ সেখানে। গতকাল হাথরাস পৌঁছনোর আগেই প্রিয়াঙ্কা রাহুলের পথ আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। গ্রেটার নয়ডায় ঢুকতেই কনভয়কে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ধ্বস্তাধস্তির সময় রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত মেয়ের গণধর্ষণ কাণ্ড গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাথরসের নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্টে নেই ধর্ষণের উল্লেখ। গলায় ফাঁসের দাগ, শ্বাসরোধ করে খুন! উল্লেখ রয়েছে শুধু এই দুটি পয়েন্ট। কিন্তু চিকিত্সকরা কোথাও উল্লেখ করেননি, দলিত মেয়েটি ধর্ষণের শিকার। ময়না তদন্তের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্ময় ছড়াতে শুরু করেছে।