ওয়েব ডেস্ক: বাম-কংগ্রেস জোট হলে বিধানসভা ভোটে গতবারের চেয়েও আসন কমবে তৃণমূলের। অন্তত ১০ থেকে ১৫টি আসন তো কমছেই। কোনও বিরোধী দলের দাবি নয়, একথা বলছে খাস আইবি রিপোর্ট। যা ইতিমধ্যে জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জোট সেবারও ছিল। কংগ্রেসের হাত ধরে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এবার কংগ্রেস বিরোধী জোটে। আর প্রথম থেকেই তৃণমূল বলতে ব্যস্ত,  জোট কোনও ফ্যাক্টর নয়। যদিও রাজ্যের হাতেই জমা পড়া আইবি রিপোর্ট বলছে, জোট প্রভাব ফেলবেই ভোটের রেজাল্টে। গতবারের চেয়ে এবার আসন সংখ্যা কমতে চলেছে তৃণমূলের। চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্ট দিয়েছে খোদ আইবি।


IB রিপোর্ট বলছে, বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়াই হলে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বাধিক ১৭০ থেকে ১৭৫ আসন পেতে পারে। গতবার, ২০১১-এ যেখানে ১৮৪টি আসন পায় তৃণমূল। 


প্রতিবারই ভোটের আগে গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এধরনের রিপোর্ট দেওয়া হয়। ২০১১-র বিধানসভা ভোটের আগেও রিপোর্ট দিয়েছিল আইবি। সেবার রিপোর্টে বলা ছিল, বামফ্রন্ট ১৬০টির মতো আসন পাবে। যদিও বাস্তবে হয়েছিল একেবারেই উল্টো। ২০১১-র ভোটে মাত্র ৬২টি আসন দখল করে বামেরা। কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পায় ২২৬টি আসন। যার মধ্যে তৃণমূল একাই দখল করে ১৮৪টি।


IB-র এই প্রাথমিক রিপোর্টকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক পক্ষ। তৃণমূল যাই বলুক, বিরোধীরা এই রিপোর্টকে যথেষ্ট তাত্‍পর্যপূর্ণ বলে দাবি করছে। IB রিপোর্টে এও উল্লেখ রয়েছে, যদি বিরোধী জোট না হয় সেক্ষেত্রে তৃণমূল একাই ২২০টি আসন পেতে পারে। অর্থাত্‍ গতবারের চেয়ে একধাক্কায় অনেকটাই বেশি।


বিধাননগর আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিল সিপিএম। কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়তে প্রস্তুত অরুনাভ ঘোষ। লড়াইয়ের ময়দানে নেমেই তিনি টেনে আনলেন পুর ভোটের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ। শ্লেষের সুরেই তাঁর মন্তব্য, বিধাননগরের মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দিতেই পারেন। তবে নিজের ভোট নিজে দিন।


পুরভোটে এমনই নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী হয় বিধাননগর। উপনগরীর রাস্তায় বহিরাগত ভোট লুঠেরাদের দাপাদাপির ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। রীতিমতো মাটিতে ফেলে পেটানো হয় ভোটারদের। পরিকল্পিত আক্রমণ হয় সংবাদ মাধ্যমের উপরেও। বিধাননগরে ভোটের ময়দানে নামার আগেই তাই পুরভোটের সেই সন্ত্রাসের ইস্যু খুঁচিয়ে দিলেন অরুনাভ ঘোষ। যদিও অরুণাভ ঘোষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধাননগরের  বর্তমান বিধায়ক সুজিত বসু। তাঁর দাবি আগেও মানুষের ভোটে জিতেছে তৃণমূল। এবারও তিনি মানুষের ভোটেই জিতবেন।


পুরভোটের আগেও ভোট লুঠ রুখতে মঞ্চ গড়েন অরুণাভ ঘোষ, সিপিএমের গৌতম দেবেরা। তবে অশান্তি রোখা যায়নি। এবার আর সিজিজেন ফোরামের মঞ্চ নয়। এক সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে সিপিএম কংগ্রেস।


বিরোধীদের দাবি, পুর নির্বাচনে অবাধ ভোট লুঠের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে বিধাননগরের আম জনতার মনে। সেই ক্ষোভ নিজেদের দিকে টানতেই সল্টলেকের অন্যতম পরিচিত মুখ অরুনাভ ঘোষকে প্রার্থী করার কৌশল। সেই কৌশল আদৌ কাজে লাগে কি না উত্তর দেবে ভোট বাক্স।