লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ তিন তালাক প্রতিরোধ বিল
তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বন্ধে সরকারের আইন আনার পিছনে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। অভিযোগ, মুসলিম পার্সোনাল ল` বোর্ডের। বিল পেশের আগে সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেনি বলে ল` বোর্ডের অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ধ্বনি ভোটে তিন তালাক প্রতিরোধ বিল পাস করিয়ে নিল সরকার। বিরোধীদের আনা সবকটি সংশোধনীই খারিজ হয়ে গেল। তাত্ক্ষণিক তিন তালাক অসাংবিধানিক। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরই এবিষয়ে আইন করার কথা জানায় সরকার।
বৃহস্পতিবার যে বিল পাস হয়েছে তাতে বলা আছে, তিন তালাক বা তাত্ক্ষনিক তালাক দিলে তিন বছরের জন্য জেলে যেতে হবে। দিতে হবে খোরপোষ। মিলবে না জামিন। শেষপর্যন্ত বিল সমর্থন করলেও কংগ্রেস একাধিক সংশোধনী আনে। আরজেডি, বিজেডি, এডিএমকে-ও একই পথে হাঁটে। তবে, কোনও সংশোধনী গ্রহণ করেনি সরকার। কাল বিলটি রাজ্যসভায় আসার কথা। রাজ্যসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিরোধীরা বেঁকে বসলে শীতকালিন অধিবেশনে বিল পাস হওয়া কঠিন। লোকসভায় বিল পাসের পর আজ দেশের নানা প্রান্তে মুসলিম মহিলা সংগঠনের সদস্যরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন- আপাতত মাসে মাসে বাড়ছে না এলপিজি-র দাম
এদিকে, তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বন্ধে সরকারের আইন আনার পিছনে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। অভিযোগ, মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ডের। বিল পেশের আগে সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেনি বলে ল' বোর্ডের অভিযোগ।
তাত্ক্ষণিক তিন তালাক দিলে এবার জেলে যেতে হবে। জেলে যদি যেতে হয় তাহলে অপরাধী কীভাবে স্ত্রীকে খোরপোষ দেবেন? বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই প্রশ্নই তুলল কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাক মামলায় আদালত-বন্ধু তথা কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ-সহ দলের অনেকেই এতদিন এই বিলের বিরোধিতায় সরব ছিলেন। তবে, বৃহস্পতিবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানান তাঁরা বিলের বিরোধী নন। আইন আরও মজবুত করতে সংসদে বিস্তারিত বিতর্কের দাবি করেন তিনি।