নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাত্ক্ষণিত তিন তালাক বন্ধে নতুন আইন আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বিলে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে ওই বিলটি নিয়ে আপত্তি জানাল মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিন তালাকের মোকাবিলায় মুসলিম মহিলাদের 'বিবাহের অধিকার সুরক্ষা' নামে বিলে আনা হয়েছে। যাতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তাত্ক্ষণিত তিন তালাকে স্বামীর তিন বছরের সাজার প্রস্তাব রয়েছে বিলে। সব মন্ত্রকের কাছে বিলটি পাঠানো হয়েছিল। সেই বিলের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। আলাদা করে তাত্ক্ষণিক তিন তালাকের মোকাবিলায় কেন বিল আনা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। 


আরও পড়ুন- টাকা দিয়ে 'সেক্স' করতে গেলেও লাগছে আধার


মন্ত্রকের বক্তব্য, '৪৯৮এ ধারায় মহিলাদের উপরে অত্যাচার সংক্রান্ত ঘটনায় স্বামী ও আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সংস্থান রয়েছে। মারধর, পণের দাবি, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার, হয়রানির মতো অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া যায় ওই আইনে। আলাদা করে তালাক-এ-বিদ্দত আইন আনার কোনও প্রয়োজন নেই।'  এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ আইন মন্ত্রক। মন্ত্রকের বক্তব্য, তিন তালাক ঠেকাতে বর্তমান আইনে কোনও সংস্থান নেই।    


আরও একটি বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছে মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। তাদের মতে, খোরপোষ ও শিশুদের হেফাজতের উল্লেখ রয়েছে আইনে। এর মাধ্যমে তো তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে স্বীকৃতিই দেওয়া হল। এনিয়ে আইন মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, বিচ্ছেদ চূড়ান্ত না গওয়া পর্যন্ত মহিলাদের স্বার্থরক্ষায় একটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাকাপাকি ডিভোর্স হওয়ার পর বিবাহ বিচ্ছেদ সুরক্ষা আইন ১৯৮৬, ধারাতেই খোরপোষ পাবেন মুসলিম মহিলারা। বিবাহ বিচ্ছেদ না পাওয়া পর্যন্ত সন্তানরা কার হেফাজতে থাকবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাজিস্ট্রেট।