নিজস্ব প্রতিবেদন: সামনেই ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট৷ বাংলার ছকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে নামছে তৃণমূল। নির্বাচনের আগে স্ট্র‍্যাটেজি সাজাতে ভোট কুশলের পেশাদার সংস্থা I-PAC এর ২৩ জন সদস্য সে রাজ্যে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে 'আটক' হয়ে পড়েন হোটেলেই৷ এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল বিরোধীদের যোগের অভিযোগ এনে বুধবার ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে তৃণমূলের তিন প্রতিনিধি দল কলকাতা থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা দিয়েছে, রবিবার রাতে আগরতলার হোটেলে গিয়ে আইপ্যাক সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পুলিস। তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়। এরপর সোমবার সকালে যখন গ্রাউন্ড রিসার্চের জন্য হোটেল থেকে বেরোচ্ছিলেন আই প্যাক টিমের সদস্যরা, তখন পুলিস বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোটেলেই থাকতে হবে।


গত রবিবার মধ্যরাত থেকে আই প্যাক দলের ২৩ জনকে আটকে রাখার অভিযোগ এনে সেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সকাল ৯.২০ এর বিমানে রওনা দেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত ভট্টাচার্য। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু জানিয়ে দেন ত্রিপুরায় পৌঁছে আটক সদস্যদের সঙ্গে আগে দেখা করবেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন, সোনিয়ার সঙ্গে আজই বৈঠকে Mamata, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে ধোঁয়াশা


বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "ওদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। কেন পারব না? এটা তো গণতান্ত্রিক দেশ। প্রয়োজনে সাংবাদিক বৈঠক করব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে।" প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অভিষেক। টুইটে তিনি লেখেন, "ত্রিপুরায় তৃণমূল ঠিকঠাক ভাবে পা রাখার আগেই, ভয় পাচ্ছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের জয়ে তাঁরা এতটাই ভীত যে, আইপ্যাকের ২৩ জন প্রতিনিধিকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিজেপির অপশাসনে এই দেশের গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে।'


সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপিকে দোষারোপের পাশাপাশি বামেদেরকেও কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য বসু। এই আটকের ঘটনায় বাম নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার নিন্দা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, "যত বোধোদয় হয় ততই ভালো। ওখানে বাম শক্তি নয়, তৃণমূল শক্তি আছে। যত বামেরা বুঝবে তা ভালোই হবে।"