ত্রিপুরার হারের কারণ প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা, তবে পশ্চিমবঙ্গে পারবে না বিজেপি : ইয়েচুরি
ত্রিপুরায় হারের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইয়েচুরি বলেন, রাজ্যের ৪৫ শতাংশ মানুষ সিপিএমকে ভোট দিয়েছেন। এটাও ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আড়াই দশক পরে ত্রিপুরায় ধরাশায়ী সিপিএম। এবার মানিক দুর্গের দখল নিল বিজেপি। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপির আসন ৪০-এর চেয়েও বেশি। অন্যদিকে, ২০টি আসনও জোটেনি সিপিএম-এর। ফলে বিপুল এই ধাক্কায় এখন রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর একটাই যুক্তি, প্রতিষ্ঠান বিরোধী মানসিকতার জন্যই এই ফল।
ত্রিপুরায় হারের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইয়েচুরি বলেন, রাজ্যের ৪৫ শতাংশ মানুষ সিপিএমকে ভোট দিয়েছেন। এটাও ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এতে দলের মনোবল বেড়েছে। তবে টানা ২৫ বছর ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। এর ফলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ফ্যাক্টর কাজ করেছে। কিন্তু, বিজেপির উত্থান মানে একেবারে ক্ষমতা দখল? কি করে সম্ভব হল? সাংবদিকদের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি সীতারাম। বলেন, বুধ ভিত্তিক ফলাফল হাতে এসে গেলে বলা যাবে সিপিএমের খামতিটা ঠিক কোথায় ছিল।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপির উত্থান
ত্রিপুরার এই ফল কি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উন্নতিতে কোনও কাজ করবে? সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, বিজেপির ত্রিপুরা জয় পশ্চিমবঙ্গে কোনও কাজ দেবে না। ওখানে বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের জন্য কাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এই দুই দল একে অন্যকে সুবিধা করে দিতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করে চলেছে।