ত্রিপুরায় আদিবাসী অধ্যুষিত আসনই ভরসা বিজেপির
বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, ত্রিপুরায় সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় কি বাম সরকারের অবসান হবে? বাম রাজ্য কি এবার রাম? অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই সে দিকে ইঙ্গিত করছে। তবে কয়েকটি সমীক্ষা বলছে, লড়াই কাঁটায় কাঁটায়। বামেদের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতও রয়েছে। ত্রিপুরার স্থানীয় চ্যানেলগুলির সমীক্ষার মধ্যেও রয়েছে মতভেদ। তবে একটা কথা স্পষ্ট, এবারই সম্ভবত বিজেপির কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন মানিক সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত ২০টি আসনই ফারাক গড়ে দেবে। সেখানে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বলে মত অনেকের।
জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি ছাড়াও বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছে ত্রিপুরার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি। আদিবাসীদের কোকবরাক ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত করে কোক ত্রিপুরা চ্যানেল। এই ভাষাতে কথা বলেন রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ বাসিন্দা। এই চ্যানেলের সমীক্ষার দাবি, ২০টি আদিবাসী সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১৩-১৬টি পেতে পারে বিজেপি। সিপিএমের দখলে যেতে পারে ৪-৭টি আসন।
বামেদের এগিয়ে রাখছে দিনরাত নামে আর একটি চ্যানেলের বুথ ফেরত সমীক্ষার। তাদের ইঙ্গিত, ৪০ থেকে ৪৯টি আসন পেতে পারে বামেরা। ১০-১৯টি আসন বিজেপির ঝুলিতে। আদিবাসী সংরক্ষিত এলাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিই বামেরা পাচ্ছে বলে তাদের সমীক্ষার দাবি।
হেডলাইনস ত্রিপুরা চ্যানেলের সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপি-আইপিএফটি জোট পেতে পারে ৫৪ শতাংশ ভোট।
২০১৩ সালে ৫২.৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মানিক সরকার। কংগ্রেস-আইএনপিটি-র জোট পেয়েছিল ৪৪.৬০ শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আদিবাসী এলাকাগুলিই ফারাক গড়ে দেবে। সেখানে বিজেপির এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন- 'হাত'ছাড়া হতে চলেছে মেঘালয়, কংগ্রেসমুক্ত উত্তর-পূর্ব