নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় সিপিএমের ভরাডুবির পর কারাট ব্রিগেডের কাঠগড়ায় সীতারাম ইয়েচুরি। পলিটব্যুরোর বৈঠকে কারাট লবি অভিযোগ করে, সংগঠনে জোর দেওয়া হয়নি। বদলে দলের রাজনৈতিক লাইন নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনাচিন্তার করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সামনে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস। তার আগে নয়া দিল্লির একে গোপালন ভবনে শুরু হয়েছে সিপিএমের পলিব্যুরোর বৈঠক। সেখানে ত্রিপুরায় পরাজয়ের ময়নাতদন্তে দুর্বল সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে। পক্ষান্তরে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে নিশানা করেছে কারাট লবি। 


সূত্রের খবর, কারাট লবির মতে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য রাজনৈতিক লাইন নিয়ে বেশি মাতামাতি করার ফলেই সংগঠনে নজর দেওয়া হয়নি। পাল্টা ইয়েচুরি লবি দাবি করে, দলিত নেতা জিগনেশ মেবানির আন্দোলন ও মহারাষ্ট্রে কৃষক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে দল। একটা সময়ে দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে দলিত ও কৃষকদের মধ্যে দলের অবস্থান পোক্ত হয়েছে। বাড়ছে সংগঠন। 


২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বামেদের হারের পর কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্তকে। তখনও কারাট লবির নিশানায় ছিল সীতারাম ইয়েচুরির সমাঝোতার সিদ্ধান্ত। 


আরও পড়ুন- টিডিপি এনডিএ ছাড়ার পরও সংখ্যার অঙ্কে স্বস্তিতে বিজেপি


সাম্প্রদায়িক শক্তির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই দলের মধ্যে কংগ্রেসের হাত ধরা নিয়ে সওয়াল করছেন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। গত ২১ জানুয়ারি কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের হাত ধরা নিয়ে ভোটাভুটিতে পরাজিত হয় ইয়েচুরি লবি। ২০১৯ সালের আগে আরও একবার রাজনৈতিক লাইন শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ইয়েচুরি। এপ্রিলে পার্টি কংগ্রেসে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে কংগ্রেস-বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্বের নীতিতে অনড় কারাট শিবির। 


আরও পড়ুন- আরজেডি জেতার পর দেশবিরোধী স্লোগান অররিয়ায়, গ্রেফতার ২