মৌপিয়া নন্দী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ত্রিপুরার ৪ আসনের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সুরে বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার আগরতলায় এক সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামি ২৩ জুন খুঁটি পুজো। আর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিসর্জন হবে বিজেপির। ওরা ভাইরাস হলে ভ্যাকসিন একমাত্র তৃণমূল।


এই নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর জন্য ২৭ জনের স্টার ক্যাম্পনারের একটি লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে বিজেপি সরকারকে বিঁধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যের একটা জায়গাতেও মানুষকে শান্তিতে ভোট দিতে দেয়নি বিজেপি। ওদের দুয়ারে গুন্ডা মডেল আপনাদের ভোট দিতে দেয়নি। কালও আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে। যখনই আমি এখানে আসি তখনই অত্য়াচার শুরু হয়ে যায়। এত ভয় কীসের? এই ভোটে আপনাদের বুথে গিয়ে নিজেদের ভোটটা দিতে হবে। দেখবেন ওদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ওদের হাতে রয়েছে ইডি-সিবিআই। আমাকে ২ বার ডেকেছে। টানা দশ ঘণ্টা জেরা করেছে। কী করেছে? তুমি কী করবে? তোমার সঙ্গে ইডি-সিবিআই রয়েছে। আমার সঙ্গে আমজনতা রয়েছে। ক্ষমতা থাকলে ছুঁয়ে দেখাও। চ্য়ালেঞ্জ করছি। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমরা ফেসবুক, টুইটারে রাজনীতি করি না। মাঠে ময়দানে মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করি। এখানে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এক ইঞ্চি জমি ছাড়িনি। আগামী ৮ মাসও ছাড়ব না। ত্রিপুরায় বদল আনতে হবে। করোনা হল ভাইরাস। আর টিকা হল কোভিশিল্ড। বিজেপি যদি ভাইরাস হয় তৃণমূল তাহলে ভ্যাকসিন। আর কোনও ভ্য়াকসিন নেই। কংগ্রেস, সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। এই যে দুই প্রার্থী, সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পান্না দেব, এদের ভোট দেওয়া মানে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া। ভোট মমতা বন্দ্যোপাধায়কে দিন। খুঁটি পুজোটা যেন ২৩ জুন হয়। বিসর্জনটা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হবে। ২০২৩ সালের নির্বাচনে সব আসনে আমরা লড়ব। কিন্তু তার আগে এই ৪ আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতান। প্রার্থী পান্না দেব নয়, সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



বিজেপিকে যে হারানো সম্ভব তা সমর্থকদের সামনে স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। বলেন, গোটা দেশে তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটা দল যারা বিজেপিকে গোহারা হারিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর ৭টা উপনির্বাচন হয়েছে। সেখানেও ওরা হেরেছে। বাংলায় যদি আমরা দরজা খুলি তাহলে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। বাংলায় হেরেছে বলে দুবার পেট্রোলের দাম কমেছে, ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বদলে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। ওরা বলেছিল দেশ বদলাবে। আপনারা বলুন, কালোটাকা ধ্বংস হয়েছে? বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি হয়েছে? দেশের অর্থনীতি রসাতলে। এইতো ডবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা।


আরও পড়ুন-'তোমার কাছে আসা মানে আমার মেয়ের কাছে আসা',রিয়েল 'খুকু'র বাড়িতে রিলের বাবা প্রসেনজিৎ


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)