নিজস্ব প্রতিবেদন: এমনিতেই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সংগঠনের ক্ষমতা প্রায় তলানিতে ঠেকেছিল। তার ওপরে এবার দল ছাড়লেন রাজ্য সভাপতিই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আমি অনেক কিছুর জন্যই নোবেল পুরস্কার পেতে পারি, মত ডোনাল্ড ট্রাম্পের



কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে সাক্ষাত করার পর পদ ছাড়লেন ত্রিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যোত্ কিশোর মাণিক্য দেববর্মা। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে দেববর্মা লেখেন, বহুদিন পর সকালটা খুবই হালকা লাগছে। আজ আর কোনও মিথ্যেবাদী বা দুর্ণীতিগ্রস্থ লোকের কথা শুনতে হবে না। কিংবা দলের কেউ আর পেছন থেকে ছুরি মারতে পারবে না। অথবা হাইকমান্ডের কাছ থেকে শুনতে হবে না কীভাবে দুর্ণীতিগ্রস্থদের দলে ঢোকাতে হয়। গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যেও আর পড়তে হবে না।



ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও মাণিক্য রাজবংশের রাজা আরও লিখেছেন, দুর্ণীতিপরায়ণ লোকজনদের দলে ঢোকা ঠেকাতে ঠেকাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এখন থেকে খোলা মনে দলকে সমর্থন করতে পারব। পদ ছেড়েছি ঠিক কথা তবে অন্য কোনও দলে যোগ দিচ্ছি না। কোনও পদের থেকে আমার মধ্যেকার রাজা অনেক বেশি শক্তিশালী।


আরও পড়ুন-'কিল তাপস চট্টোপাধ্যায়', পোস্টারে বিধাননগরের ডেপুটি মেয়রকে খুনের হুমকি


কীভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব এতটাই বাড়ল দেববর্মার?  রাজনৈতিক মহলের খবর, রাজ্যে নাগরিকপঞ্জী চেয়ে গত ২২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন ফাইল করেন তিনি। তার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। দেববর্মা নাগরিকপঞ্জীকে সমর্থন করায় বিপাকে পড়ে যায় দল। তাঁকে ওই পিটিশন প্রত্যাহার করতে বলা হয়। কিন্তু দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত করে জানিয়ে দিয়ে আসেন, ওই আবেদনপত্র প্রত্যাহার করবেন না বরং পদত্যাগই করতে চান তিনি।