নিজস্ব প্রতিবেদন- সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছিল, সাধারণ মানুষ লকডাউনের নির্দেশ মানলে সংক্রমণের হার অনেকটাই কমানো সম্ভব। কিন্তু কিছু মানুষ কথা শোনেননি। লকডাউন, কার্ফু উপেক্ষা করে তাঁরা ঘুরে বেরিয়েছেন অবলীলায়। পুলিস তাঁদের পাকরাও করেছে। তাঁরা দিব্যি জরিমানা দিয়ে গা ঝেড়েছেন। কিন্তু এই সময় জনগণের থেকে জরিমানা বাবদ নেওয়া অর্থ সরকারের খাতায় জমা হয়েছে। ত্রিপুরার সরকার জানিয়েছে, লকডাউনের পর্বে তারা কোটি টাকা জরিমানা বাবদ উসুল করেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ত্রিপুরার শিক্ষা এবং আইন দফতরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন,  ২৬ মে থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পুলিস প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বহু মানুষকে সরকারি নির্দেশ না মানার জন্য ধরপাকর করেছে। তাঁদের থেকে জরিমানা বাবদ মোট তিন লাখ ২৯ হাজার টাকা আদায় করেছে প্রশাসন। এছাড়া যাত্রী পরিবহণ সংক্রান্ত নির্দেশ পালন না করায় প্রায় দশ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর জন্য জরিমানা হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার টাকা। মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে জরিমানা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলার জন্য জরিমানা করা হয়েছে ৫৯ হাজার টাকা। হেলমেটবিহীন অবস্থায় মোটরসাইকেল চালানোর জন্য জরিমানা হয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। 


আরও পড়ুন- হয় ফেসবুক ছাড়ুন না হলে চাকরি, সেনা কর্তাকে ধমক হাইকোর্টের বিচারপতির


সবমিলিয়ে দেশের লকডাউন পর্বে এক কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করেছে ত্রিপুরার সরকার। রতন লাল নাথ বলেছেন, সরকার সবসময় সাধারণ মানুষকে নিয়ম মানার জন্য আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু অনেকেই সেটা মানেননি। এমনকী এখনও বহু মানুষ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরছেন।