নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় জয়ের পরই মানিক সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল অথবা বাংলাদেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অসমের অর্থমন্ত্রী তথা উত্তর-পূর্বে বিজেপির প্রধান নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা। ভোটের পর সিপিএম কর্মী ও দলীয় দফতরে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভাঙা হয়েছে লেনিনের মূর্তি। এমন পরিবেশেই এক টুকরো সৌজন্যের সাক্ষী থাকল আগরতলায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ মঞ্চ। ভোটের প্রচারে একে অপরকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মানিক সরকার ও নরেন্দ্র মোদী। সে সব আজ অতীত। মোদী-মানিকের সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী থাকল ত্রিপুরা।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার আগরতলায় সিপিএমের রাজ্য দফতরে গিয়ে মানিক সরকারকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিপ্লব দেব ও রাম মাধব। পরম্পরা বলছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধীরা সাধারণত হাজির থাকেন না ত্রিপুরায়। এবার সেই নিয়মে ছেদ পড়ল। কারণ, বিপ্লব দেবের আমন্ত্রণ ফেরাতে পারেননি মানিক সরকার। এদিন মঞ্চে বিজেপির দুই বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলীমনোহর জোশীর মাঝেই বসেছিলেন মানিক। এরপরে মঞ্চে ওঠেন মোদী, মানিককে দেখতে পেয়েই হাত মেলালেন তাঁর সঙ্গে। দু'জনে খানিকক্ষণ কথাও বললেন।



আরও পড়ুন- লেনিন, শ্যামার পর এবার ভাঙা হল বজরংবলির মূর্তি


সৌজন্যের আরও এক নজির দেখা গেল এরপরে। মানিক সরকার মঞ্চ ছাড়তেই এগিয়ে এলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রাক্তনের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। বিপ্লব দেব আগেই জানিয়েছিলেন, মানিক সরকার তাঁর দাদার মতো। সরকার চালাতে পরামর্শ নেবেন।  



আরও পড়ুন- শাসক-বিরোধী সহিষ্ণুতার বার্তা মোদীর