দফায় দফায় আক্রান্ত, ছাঁটাই ১০,৩২৩ শিক্ষক প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন ত্রিপুরায়
গত মাসে বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পর থেকে হামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদেরকে, এমনই অভিযোগ। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিস সুপার জে রেড্ডির হস্তক্ষেপ চেয়েছে তারা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছাঁটাই করা শিক্ষকদের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা ত্রিপুরায়, এবার এমনই অভিযোগ উঠল। ছাঁটাই করা স্কুল শিক্ষকদের একটি দল সোমবার বিক্ষোভও প্রদর্শন করেছে। গত মাসে বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পর থেকে হামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদেরকে, এমনই অভিযোগ। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিস সুপার জে রেড্ডির হস্তক্ষেপ চেয়েছে তারা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একটি দলের নেত্রী ডালিয়া দাস বলেন, যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তাদের সনাক্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। তিনি এও বলেন, আমাদের কিছু শিক্ষক ২৬ জুন উপ-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে দুর্বৃত্তদের আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। আমরা কেন হামলার শিকার হচ্ছি? আমরা এসপির কাছে আমাদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।"
ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের মতে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার রামনগর, গাঙ্গাইল, অরূন্ধতি নগর এবং সুরজাপাড়া এলাকায় বেশির ভাগ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিসের তরফে কিছুই করা হয়নি বলে অভিযোগ। একজন শিক্ষক বলেছেন, "আমাদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। আশা করছি আমাদের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে ঠিকভাবে দেখবেন।"
এ বছর শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, রাজ্য সরকার শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করছে। আইনি জটিলতা ছাড়াই নিয়োগএর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ত্রিপুরা হাইকোর্টের একটি আদেশ অনুসারে একটি ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার কারণে প্রায় ১০ হাজার ৩২৩ স্কুল শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। যদিও ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন ধাপে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন, Sexual Harassment: ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ, পুলিসের জালে আইএএস অফিসার