নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম ডেডলাইন মানা হল না। বলা হয়েছিল, দুপুর দেড়টা নাগাদ আস্থা ভোটের আয়োজন করতে হবে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে। গভর্নরের সেই নির্দেশ তো মানলেনই না বরং মুখ্যমন্ত্রী এইডি কুমারস্বামীর যুক্তি, এ বিষয়ে গভর্নরের নির্দেশ তাঁরা মানতে বাধ্য নন। স্পিকারই শেষ কথা। এরপরও ক্ষান্ত হননি গভর্নর বাজুভাই বালা। ফের নির্দেশ দিলেন, দিনের শেষে আস্থা ভোট করতেই হবে। এখন দেখার কোনদিকে জল গড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন আস্থা ভোট করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, “১৪ মাস পর, চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছি আমরা। এখন আলোচনা করতে দেওয়া উচিত।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে কটাক্ষ করে বলেন, “আপনারা সরকার গড়তেই পারেন। তাই তাড়াহুড়ো করবেন না। সোমবার কিংবা মঙ্গলবার করা যেতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার করব না, কথা দিচ্ছি।” গতকালই, গভর্নর একটি চিঠি দিয়ে জানান, জোট সরকারের ১৫ বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দুই নির্দল বিধায়ক সমর্থন তুলে নিয়েছে। এখন সংখ্যালঘু কংগ্রেস-জেডিএস সরকার। আস্থা ভোট করে ক্ষমতা প্রমাণ করা উচিত।


আরও পড়ুন- ‘পশ্চিমবঙ্গের মার্কেটিং করতে বলা হয়নি আপনাকে’, সুদীপের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ মন্তব্যে কটাক্ষ স্পিকারের


উল্লেখ্য, গত বছর কর্নাটক নির্বাচনের পর বিজেপিকেই সরকার গড়তে ডেকেছিলেন গভর্নর। কিন্তু সে সময় প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি ইয়েদুরাপ্পা। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফাপত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত স্পিকারের উপর ছেড়ে দেয়। তবে, প্রধান বিচারপতি বেঞ্জ জানায়, বিক্ষুব্ধ বিধায়কের উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। তাঁদের উপর হুইপও জারি করা যাবে না। এর ফলে আস্থা ভোট প্রমাণের সময় বিধানসভায় হাজির নাও থাকতে পারে ১৫ বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। রামলিঙ্গ রেড্ডি নামে এক বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক দলে ফিরে আসেন।


এই মুহূর্তে যদি ১৫ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়, তাহলে জোট সরকারের হাতে ১০১ বিধায়ক থাকবে। বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। পাশাপাশি, দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন পাবে  বিজেপি। ফলে ২২৪ আসনে ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়াবে ১০৫। হিসেব মতো বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ এখন সময়ের অপেক্ষা।