নিজস্ব প্রতিবেদন : উন্নাও ও কাঠুয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ খোলার পরই জম্মু ও কাশ্মীর সরকার থেকে ইস্তফা দিলেন দুই বিজেপি মন্ত্রী। রাজ্য বিজেপির প্রধান সত্ শর্মা তাঁদের ইস্তফার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের বনদফতর ও শিল্প-বাণিজ্য দফতরের দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে বিজেপির দুই মন্ত্রী লাল সিং ও চন্দ্র প্রকাশ গঙ্গা। তাদের বিরুদ্ধে কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থনে কথা বলার অভিযোগ উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অপরাধীদের রেয়াত নয়, দেশকে ভরসা দিলেন মোদী


চলতি বছর ১০ জানুয়ারি কাঠুয়া থেকে ৮ বছরের এক শিশুকন্যাকে অপহরণ করে দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ, ১৪ই জানুয়ারি তাকে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। ১৭ জানুয়ারি এলাকার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। রাজ্য পুলিস তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ২জন স্পেশাল পুলিস অফিসার ও ১জন কনস্টেবল। গত সোমবার ৮ জনরে মধ্যে ৭ জনরে বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস। একজন অপরাধী নাবালক হওয়ার তার বিরুদ্দে অন্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।


আরও পড়ুন- কাঠুয়া গণধর্ষণ নিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করায় আধিকারিককে বরখাস্ত করল ব্যাঙ্ক


কাটুয়া ইস্যুতে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতারা এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছে না। এরপরই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুই ঘটনা নিয়ে প্রথমবারের জন্য মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ''গত দুদিন ধরে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তা সভ্য সমাজের অংশ হতে পারে না। দেশ ও সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা লজ্জিত। আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই, অপরাধীদের ছাড়া হবে না। শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের মেয়েরা সুবিচার পাবে।''


আরও পড়ুন- কাঠুয়া ইস্যুতে দূরত্ব বাড়ল পিডিপি-বিজেপির, প্রতিবাদে মুখর মানেকা থেকে স্মৃতি


প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই জম্মু ও কাশ্মীর সরকারে থাকা দুই বিজেপি মন্ত্রী ইস্তফা দেন। শুধু তারাই নন, রাজ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের এক নেতাকেও এই একই ইস্যুতে দল বহিষ্কার করেছে। শান্তি স্বরূপ নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে কাঠুয়া ঘটনায় অভিযুক্তদের সমর্থন করার অভিযোগ উঠেছে।