নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী রইলেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে। সরলেন শুধু তাঁর ক্যাবিনেটের দুই মন্ত্রী। বিজেপির বিধায়ক ফ্রান্সিস ডি’সুজ়া এবং পাণ্ডুরঙ্গ মডকাইকরকে অসুস্থতার কারণে মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের পরিবর্তে অন্য দুই বিজেপি বিধায়ক নীলেশ কাবরাল এবং মিলিন্দ নায়েককে বসানো হল। এর মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পরসেকরের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন মিলিন্দ নায়েক। আর নীলেশ এই মন্ত্রিত্ব পেলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ৫ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত নিতিন কি এখন নাইজেরিয়ায়?


উল্লেখ্য, রবিবার গোয়ার বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে প্রশাসনিক কাজকর্ম বিষয়ে বৈঠক করেন দলের সভাপতি অমিত শাহ। এ দিন অমিত টুইটে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব হাসপাতাল থেকেই সামলাবেন মনোহর পর্রীকর। তবে, খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে বলে জানান তিনি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে রদবদলের খবর জানানো হয়।


গোয়ার বিধায়ক ফ্রান্সিস ডি’সুজা শহর উন্নয়ন দফতের মন্ত্রী ছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থতার কারণে মার্কিন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। অন্য দিকে বিদ্যুত্ মন্ত্রীর পদে থাকা পাণ্ডুরঙ্গ ব্রেন স্ট্রোকে গত জুন থেকে প্রশাসনিক কাজে বিরত রয়েছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকরও অগ্ন্যাশয়ের সংক্রমণে দিল্লির এইমস-এ ভর্তি রয়েছে। এর আগে তিনি-ও চিকিত্সরা জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন- বদ-মতলব থাকলে ভুগবে পাকিস্তানই : রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভারতীয় দূত আকবরুদ্দিন


দীর্ঘ ছয় মাস ধরে অসুস্থতার জেরে ঠিক মতো দফতর সামলাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। যার কারণে প্রশাসনিক কাজে অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। গোয়ার গভর্নর মৃদুলা সিনহার কাছে নতুন সরকার গড়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি-ও দেয় কংগ্রেস। এমনকি বিজেপির জোট সরকারে মধ্যেও নেতৃত্বের অভাবে অস্থিরতা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অনুপস্থিতিতে মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়ে যান শরিক দল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তর পার্টির বিধায়ক সুদীন ধভলীকরকে। যদিও এই সিদ্ধান্তে প্রবল আপত্তি জানায় গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি। হাল ধরতে হয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে।