নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন করে ২ মহিলা আয়াপ্পা মন্দিরের খুব কাছে পৌঁছানোয় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হল সবরীমালা চত্বরে। জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে ৯ সদস্যের ভক্তদের এক দলে থাকা ওই দুই মহিলা আয়াপ্পার মন্দিরে কাছে পৌঁছে যায়। বিক্ষোভকারীরা তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে বেষ্টনী তৈরি করে ফেলা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর কেরলের কান্নুর থেকে আসা ওই দলটি পাম্বা বেস ক্যাম্প অতিক্রম করলে বাধা দেয় বিক্ষোভকারী ভক্তরা। ওই দুই মহিলার একজন প্রশ্ন তোলেন, “মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশে আয়াপ্পা কোনোও আপত্তি নেই। তা হলে তারা কেন এ ভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।” ওই মহিলার দাবি, আয়াপ্পা দর্শনের জন্য ৪১ দিন ধরে অপেক্ষায় বসে রয়েছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন- কর্ণাটকে চলছে ‘খেলা ভাঙার খেলা’, ঈশ্বরই থামাতে পারেন, বললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া


গতকালই জানা যায় আয়াপ্পা দর্শনকারী প্রথম ‘ঋতুমতী’ মহিলা কনক দুর্গাকে বেধড়ক মারের মুখে পড়তে হয়। তাঁর দাবি, আয়াপ্পা দর্শনের জন্যই নির্মমভাবে লাঠিপেটা করেন তাঁর শাশুড়ি। গুরুতর জখম নিয়ে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি কনক দুর্গা। গত ২ জানুয়ারি কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় প্রথম দুই মহিলা কনক দুর্গা ও বিধু আম্মিনি  আয়াপ্পা দর্শন করেন। এর পরেই প্রাণনাশের হুমকি আসতে শুরু করে তাঁদের উপর। কনক বলেন, আয়াপ্পা দর্শনের পর থেকেই বারবার প্রাণনাশের হুমকি আসছিল। সরকারি নিরাপত্তায় গোপন আস্তানায় লুকিয়েছিলেন তাঁরা। যে কোনও সময় তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন এই আশঙ্কায় এখনও দিন গুনছেন কনক দুর্গা।


আরও পড়ুন- ভার্মার অপসারণ বৈঠকের কার্য বিবরণী প্রকাশের দাবি মল্লিকার্জুন খাড়গের


উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধিতায় নামেন বিক্ষোভকারী ভক্তরা। কংগ্রেস-বিজেপি-সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বেশ কয়েকজন মহিলা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করলে, বিক্ষোভকারীদের প্রবল চাপে ফিরে আসতে বাধ্য হন তাঁরা। তবে, শেষমেশ রক্ষা করা যায়নি। এই প্রথম কনক ও বিধু আম্মিনি প্রাণনাশের তোয়াক্কা না করেই আয়াপ্পা দর্শন করেন, যা সবরীমালার ইতিহাসে নজির বলেই মনে করা হচ্ছে।