জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক মাস আগে এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছিল মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে। ধর্ষণের শিকার হয়েছিল মাত্র ১২ বছরের এক কিশোরী। আহত, অর্ধ উলঙ্গ, রক্তাক্ত অবস্থায় প্রায় ১২ কিলোমিটার দরজায় দরজায় ঘুরেছিল একটু সাহায্যের জন্য। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। অভিযুক্ত ২৪ বছরের এক অটোচালক ধরা পড়লেও নির্যাতিতার পরিবারের জীবনে কোনও উন্নতি হয়নি। বরং সাঁতারা জেলায় ওই কিশোরীর পরিবার এখন সামাজিক বয়কটের শিকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ইডি হাজিরায় 'না' আপ সুপ্রিমোর, মধ্যপ্রদেশে প্রচারে কেজরি


ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবরের মধ্যে। তার পর এনিয়ে প্রবল হইচই হয়। সরকার ও বিরোধী কংগ্রেসের তরফে আর্থিক সাহায্য-সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তার কোনওটাই পূর্ণ হয়নি। কিশোরীর দাদার দাবি, ওই ঘটনার পর গ্রামে এক সামাজিক বয়কটের শিকার তারা। কারণ তারা নীচু জাতের মানুষ। প্রশাসনের কেউই এখন তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি নন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর গ্রাম থাকেন প্রায় ৭০০ মানুষ। তাদের অর্ধেকই নীচু জাতের। তার পরেও তারা বয়কটের শিকার।


ঘটনার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেন নির্যাতিতাকে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে, রাজ্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন নির্যাতিতাকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সেই সাহায্য তো আসেইনি জেলা শাসকও একবারের জন্য কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সৌজন্যটুকু দেখাননি। এখনও পর্যন্ত পুলিস ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের তরফে মাত্র ৩ লাখ টাকাই দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি পরিবারের।


উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেন অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। কারণ সেই বাড়ি তৈরি হয়েছিল সরকারি জমিতে। এর বাইরে পরিবারকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করার মতো তেমন কিছু করা হয়েছে এমনটা চোখে পড়ছে না।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)