নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে এক তরফা অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়। জানিয়ে দিল সেনা। ফলে রমজানের সময়ে কাশ্মীরে অস্ত্র সংবরণের ‌যে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি দিয়েছিলেন তা ধাক্কা খেল।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন, মে মাসে রমজানের সময় থেকে অগাস্টে অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রথা তৈরি করেছিলেন প্রাক্তন অটলবিহারী বাজাপেয়ী। ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০১ সালের মে মাস পর্যন্ত কাশ্মীরে অস্ত্র বিরতি ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুন-রেলব্রিজের পাশে উদ্ধার দেহ, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে যুবক খুন ট্যাংরায়
এদিকে সেনাবাহিনীর বক্তব্য, বাজপেয়ীর আমলে অস্ত্র সংবরণের সু‌যোগ নিয়ে উপত্যকায় প্রবল হাঙ্গামা করেছিল জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি ‌যতক্ষণ প‌র্যন্ত না অস্ত্র ছাড়বে ততক্ষণ এক তরফা অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়। এতে বড়সড় ক্ষতি হবে সেনার।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে সংবাদ মাধ্যমের খবর, এখনও প‌র্যন্ত্র অস্ত্রবিরতির জন্য কোনও লিখিত আবেদন মন্ত্রকে আসেনি। গোটা বিষয়টি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের তৈরি করা। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন- বোমার আঘাতে উড়ল হাত, গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত গীতালদহ
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর একটি পরিসংখ্যান অনু‌যায়ী, বাজপেয়ীর আমলে অস্ত্রবিরতির সময় ৪৪৬টি জঙ্গি হামলা হয়। ২০০১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর প‌র্যন্ত ওই সংখ্যা বেড়ে হয় ৭১২টি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর শ্রীনগরে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা চত্বরে হামলা চালায় জঙ্গিরা।