নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা করোনা পরিস্থিতিতে ধাক্কা খেয়েও ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে দেশের অর্থনীতি। মোদী সরকারের সামনে এখন বিশাল চ্যালেঞ্জ। এর মধ্য়েই আগামিকাল সাধারণ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কর কাঠামোর পরিবর্তন থেকে থেকে শুরু করে শিল্প, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যাশা বিশাল। তা কি কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারবেন অর্থমন্ত্রী? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এখন দেখে নেওয়া যাক কোন ক্ষেত্রের জন্য বিশেষজ্ঞ মহলের প্রত্যাশা কী রকম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর কাঠামো


প্রতিবার বাজেটের সময় মানুষ জানার জন্য উত্সুক থাকেন  ব্যক্তিগত কার কাঠামোয় কী বদল হল। তবে আয়কর কাঠামোয় বদল আসেনি বহুদিন ধরেই। এবার কি তা করবেন নির্মলা সীতারমন? এই প্রশ্ন থাকছেই


২০১৪ সালে একবার ব্যক্তিগত করছাড়ের ক্ষেত্রে বদল এনেছিলেন অরুণ জেটলি। কর দেওয়ার সীমানা ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২.৫ লাখ। বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে এটি বাড়িয়ে করা হয় ৩ লাখ। তার পর থেকে আর কোনও বদল হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবার সীতারমন কিছু বদল আনতে পারেন। মনে করা হচ্ছে করছাড়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ করা হতে পারে।


২০২০ সালে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা নতুন নীতি চালু করেছিলেন সীতারমন। বর্তমানে ২.৫ লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত ব্যক্তিগত করের হার ৫ শতাংশ। এর কোনও বদল হয় কিনা সেটাই দেখার। স্টান্ডার্ড ডিডাকটেশেনের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে সীমা বাড়িয়ে ১.৫ লাখ করা হয়। এখানেও কোনও বদল হয় কিনা সেটা দেখার।


রেল


ট্রেনের গতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, আরও উন্নত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। গত বছর রেলের জন্য মোট ২.১৫ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র।  কেন্দ্রের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার কিলোমিার রেলপথের বৈদ্যুতিককরণ। ফলে এবার রেল বাজেট আরও বাড়ান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 


স্বাস্থ্য পরিকাঠামো


করোনা পরিস্থিতি দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর করুণ অবস্থা সরকারের সামনে এনে দিয়েছে। অক্সিজেন নেই, কনসেনট্রেটর নেই, করোনা পরীক্ষার জন্য কিট পর্যন্ত নেই। এরকম এক পরিস্থিতিতে এবার দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় মোটা বিনিয়েগ করা হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।


গত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্র বাজেট বাড়িয়েছিল প্রায় ১৩৭ শতাংশ। মোট বরাদ্দ ছিল ২.২৩ লাখ কোটি টাকা। আগের বছর এই বরাদ্দ ছিল মোট ৯৪,০০০ কোটি টাকা। তাই এবারও আশা করা হচ্ছে সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আরও বরাদ্দ বাড়াতে পারে কেন্দ্র।


কর্মসংস্থান


করোনা সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছে ছোট শিল্প ও অসংঘটিত ক্ষেত্রে। বহু মানুষ একবার যারা কাজ হরিয়েছেন তার আর তা ফিরে পাননি। ছোট উদ্যোগপতিরা ঘুরে দাঁড়াতে হিমসিম খাচ্ছেন। ছোট শিল্প, অটোমোবাইল ও পরিকাঠামো উন্নয়নের মতো সেক্টরের জন্য় কিছু নতুন ব্যবস্থা করে কর্মসংস্থানের নিম্নমুখি ধারাকে টেনে তুলতে পারে সরকার।


ঋণের সুদ


দেশের ব্যবসা ও শিল্প ক্ষেত্রকে টেনে তুলতে দেশিয় উত্পাদনে উপরে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। গতবার ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছিল সরকার। পাশাপাশি বেশকিছু ছাড়ের কথাও ঘোষণা করা হয়। এখন প্রশ্ন হল ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সুদের হার কী করবে। এক্ষেত্রে সরকারকে সুদের হার কম করতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


করোনা চিকিত্সায় ছাড়


করোনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়েছেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। এখন কোভিড চিকিত্সায় সরকার খরচ কমতে পারে কিনা বা কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।


শিক্ষাক্ষেত্র


বিশেষজ্ঞমহলের পরামর্শ, শিক্ষাক্ষেত্রকে টেনে তুলতে সরকারের উচিত জিডিপির ৮-৯ শতাংশ তুলে রাখা। প্রাইমারি, সেকেন্ডারিস্তরে আরও বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারকে ভাবতে হবে স্কিল ডেভলপমেন্টের বিষটিও। এতে কাজের সুযোগ বাড়বে তরুণদের। 


জ্বালানীর দাম


এবছর আম জনতাকে সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে তা হল পেট্রোল, ডিজেলের দাম। সরকার কিছু ছাড়া দিলেও তেলের দাম এখনও একশো টাকার উপরেই ঘোরাফেরা করছে। এখন কর কম করে সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দেয় কিনা সেটাই দেখার। কোনও কোনও মহলের দাবি জিএসটির আওতায় আনা হোক জ্বালানীকে।


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)