১২ ঘণ্টার পথ ৮ ঘণ্টায় পৌঁছাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, আরও সহজ বৈষ্ণো দেবী দর্শন
এই ট্রেনের ট্রায়াল রান আগেই সারা হয়ে গিয়েছিল। আজ থেকে চালু হচ্ছে এই ট্রেনের পরিষেবা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এই ট্রেনের ট্রায়াল রান আগেই সারা হয়ে গিয়েছিল। আজ থেকে চালু হচ্ছে এই ট্রেনের পরিষেবা। এই ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে শ্রী বৈষ্ণো দেবী কাটরা।
পরীক্ষামূলক যাত্রায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। তবে যাত্রী নিয়ে এই ট্রেন ছুটবে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে। দিল্লি থেকে কাটরা যেতে সময় লাগে মোটামুটি ১২ ঘণ্টা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মাত্র ৮ ঘণ্টাতেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রথম আনা হয় দিল্লি-বারাণসী রুটে। রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে মোট ৪০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ দিন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “১৫ অগাস্ট, ২০২২ সালের মধ্যে রেলের সাহায্যে দেশের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সংযুক্ত করার লক্ষ্যমাত্র নিয়েছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “রেল তার গতি, স্কেল এবং সেবার নীতিগুলি মাথায় রেখে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগোচ্ছে। আমি গর্বিত যে এই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ট্রেনটি আজ এখান থেকে তার যাত্রা শুরু করছে।”
আরও পড়ুন: আগামী প্রজন্মের কাছে গান্ধীকে তুলে ধরতে ‘আইনস্টাইন চ্যালেঞ্জের’ প্রস্তাব দিলেন মোদী
এই ট্রেনে রয়েছে ১৬টি কোচ। প্রতিটি কোচেই থাকবে প্রতিবন্ধী সহায়ক টয়লেটের ব্যবস্থা। প্রতিটি কোচেই রাখা হয়েছে পৃথক প্যান্ট্রিকার। রয়েছে সিসিটিভির নজরদারির ব্যবস্থা। এ ছাড়াও দু’টি ড্রাইভার কার, দু’টি এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার এবং ১২টি চেয়ার কার কোচ থাকবে। এই ট্রেনের প্রতিটি কোচে থাকা এলইডি স্ক্রীনে পরবর্তী স্টেশনের নাম আর স্টপেজ সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। ট্রেনটি প্রতিটি দরজা স্বয়ংক্রিয় (মেট্রো রেলের দরজার মতো) ও ট্রেন ছাড়ার পরে তা নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রেনের যে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করার জন্য ১৫ থেকে ২০ জন টেকনিক্যাল স্টাফ থাকবেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে।