নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও মৌলিক অধিকারই চূড়ান্ত নয়। নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকারেও যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) আইনি চ্যালেঞ্জের জবাব দিল কেন্দ্রীয় সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার থেকে দেশে চালু হয়েছে কেন্দ্রের ডিজিটাল নীতি বিধি। সেই বিধির আওতায় ডিজিটাল বার্তার উৎসস্থল জানাতে হবে ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপকে। কেন্দ্রের নতুন বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। তাদের যুক্তি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের 'উৎস' ও প্রতিটি বার্তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট চাওয়ার মধ্যে কোনও ফারাক নেই। এর ফলে ভাঙবে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। লঙ্ঘিত হবে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তার অধিকার।               


তবে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাখ্যাকে প্রাধান্য দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্করপ্রসাদ (Union IT Minister Ravi Shankar Prasad)। তাঁর কথায়,''সকল নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার রক্ষায় দায়বদ্ধ ভারত সরকার। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব। যে কোনও মৌলিক অধিকার, এমনকি ব্যক্তি পরিসরের স্বাধীনতাও চূড়ান্ত নয়। তার যুক্তিগ্রাহ্য নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।'' 


রবিশঙ্করের (Ravi Shankar Prasad) সংযোজন,''কোথা থেকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে তা জানাতে বাধ্য হোয়াটসঅ্যাপ। এতে শুধু দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার রক্ষা সংক্রান্ত গুরুতর অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত ও শাস্তিও দেওয়া যাবে। এরইসঙ্গে অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক, আইনশৃঙ্খলা, অপরাধে উস্কানি, ধর্ষণ, কামোদ্দীপক ও শিশুদের যৌন উৎপীড়ক জিনিসপত্রের প্রেরণ সংক্রান্ত অপরাধেও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।'' 


আরও পড়ুন- কোভিড আক্রান্ত ভারতের ২ শতাংশ মানুষ! আমেরিকা ও ফ্রান্সের চেয়ে ঢের কম