নিজস্ব প্রতিবেদন: সংবিধান বিতর্কে ক্ষমা চাইলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে। বৃহস্পতিবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে হেগড়ে বলেন, “আমার মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সংবিধানকে আমি সম্মান করি এবং বিশ্বাস করি সংবিধানই চূড়ান্ত। যদি আমার মন্তব্য কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকে, তা হলে ক্ষমা চাইতে আমার কোনও আপত্তি নেই।” এদিন সংসদে ঢোকার আগেই সুর খাদে নামিয়ে সাংবাদিকদের হেগড়ে বলেন, “রাজ্যসভা এবং লোকসভা দু’কক্ষেই আমার মন্তব্য নিয়ে হুলুস্থুল বেধেছে, সেই প্রেক্ষিতে বন্ধুদের বলতে চাই আমার মাথার উপরে রয়েছে সংবিধান এবং সংসদ।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ফের পিপিএফ, এনএসসি প্রকল্পে সুদের হার কমাল কেন্দ্র


প্রসঙ্গত, রবিবার কর্নাটকে ব্রাহ্মণ যুবা পরিষদের এক সমাবেশে অনন্ত কুমার হেগড়ে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে তাঁদের সরকার সংবিধান পাল্টে ফেলবে। তাঁর আরও বক্তব্য, যাদের নিজেদের রক্ত সম্পর্কে কোনও শ্রদ্ধা নেই, তারাই হল ধর্মনিরপেক্ষ। হেগড়ের এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে এতটুকুও সময় নেয়নি কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। শীতকালীন অধিবেশনে দু’কক্ষই এই বিতর্কে উত্তাল হয়ে ওঠে। বুধবার সংসদে এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ। আজাদ বলেন, “যার সংবিধানের উপর আস্থা নেই, তার সংসদের থাকার অধিকারও নেই।” এরপরই হেগড়েকে সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন বিরোধীরা।


আরও পড়ুন- দায় নিল না সরকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারকে বরখাস্তের দাবিতে তোলপাড় সংসদ