নিজস্ব প্রতিবেদন: গরু পাচারকারী সন্দেহে গণধোলাইয়ে মৃত্যু। ঘটনাস্থল আবারও রাজস্থানের আলোয়ার। এনিয়ে কার্যত বিরোধীদের দিকেই আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। তাঁর প্রতিক্রিয়া, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা যত বাড়বে, ততই এই ধরনের ঘটনা বেশি করে প্রকাশ্যে আসবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেঘওয়ালের কথায়,''প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ঘটনাও উত্তরোত্তর বেড়ে চলবে। বিহার নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছিল 'পুরস্কার ওয়াপসি'। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে আগে গণধোলাইয়ের ঘটনা। ২০১৯ সালের আগে অন্য কিছু ঘটবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের সুফল মিলতে শুরু করেছে। তার থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করা হচ্ছে।''



গণধোলাইয়ের নিন্দা করে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তোলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তাঁর ব্যাখ্যা, ''এটাই প্রথমবার নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে বোঝা যাবে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? কারা শুরু করেছিল এটা? কাদের বন্ধ করা উচিত ছিল? ১৯৮৪ সালে শিখদের সঙ্গে যা ঘটেছিল, দেশের ইতিহাসে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় গণধোলাইয়ের ঘটনা।''  



শুক্রবার রাতে রাজস্থানের আলওয়ারে হরিয়ানার বাসিন্দা আক্রম খানের উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। আক্রম ও তার সঙ্গীর কাছে ছিল দুটি গরু। গরু পাচারকারী সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় আক্রমকে। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তাঁর। আলওয়ারের পুলিস আধিকারিক অনিল বেনিওয়াল বলেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ৩০২ ধারায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন রাজস্থানের পুলিসমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া। এর পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। কাটারিয়ার দাবি, কঠোর আইন আনার চেষ্টা করছে সরকার। ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। 



গতবছর রাজস্থানের আলওয়ারের হরিয়ানার মেওয়াটের কৃষক পেহলু খানকে পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। 


আরও পড়ুন- সুভাষ, প্রণবকে টেনে রাহুলের 'চোখে চোখ' মোদীর