নিজস্ব প্রতিবেদন : কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় গোটা দেশ। এবার তার মাঝেই ধর্ষণের মতো ঘটনা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক ছড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। রবিবার তিনি বলেন, ''ভারতের মতো এতবড় দেশে দু'একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটতেই পারে। আমরা তা আটকাতে পারি না। তবে এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলিকে এতবড় করে দেখানোর কিছুই হয়নি।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- শিশুধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর এহেন কথা সামনে আসার পরই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। যদিও এরপরই তিনি বলেন, ''এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। সরকার সর্বদাই সতর্ক।''


গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় কেন্দ্রের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে বিরোধীরা। তবে, সাম্প্রতিকতম কাঠুও ও উন্নাওতে ধর্ষণের ঘটনা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একমঞ্চে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক মঞ্চেই নয়, এই ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের ব্যর্থতাকেই দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন দেশ ও বিদেশের ৬০০ শিক্ষাবিদ।


আরও পড়ুন- সাজার হার মেরেকেটে ৩ শতাংশ, শুধু মৃত্যুদণ্ডেই কি কমবে শিশুধর্ষণ?


এদিকে, পকসো আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই শনিবার প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরতেই জারি হয় অধ্যাদেশ। সেখানে বলা হয়েছে, ১২ বছরের নীচে শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের সাজার উল্লেখ করা হয়েছে। ১৬ বছরের নীচে মেয়েদের ধর্ষণেও রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাতে অনুমোদন মেলে। এরপরই জারি হয় অধ্যাদেশ। রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও সেই অধ্যাদেশে সই করেছেন।