নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে মিলল সমাধান সূত্র। নতুন রক্ত নয়, রাহুল গান্ধী ভরসা রাখলেন বুড়ো হাড়েই। সম্ভবত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন অশোক গেহলতই। রাহুল গান্ধী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ঘোষণা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩ দিনের নাটকের পর শুক্রবার বেলা ২.৩০ মিনিট নাগাদ রাজস্থানের ২ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সচিন পাইলট ও অশোক গেহলতকে নিয়ে ছবি টুইচট করেন রাহুল গান্ধী। এর পরই প্রকাশ্যে আসে অশোক গেহলতের নাম। সচিন পাইলটকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 


সূত্রের খবর, জয়পুরে অশান্তি এড়াতে অশোক গেহলতের নাম ঘোষণা করা হতে পারে দিল্লি থেকে। 


সোমবার ভোপালে কমলনাথের শপথ, ফোন করে আমন্ত্রণ জানালেন মায়াবতী ও অখিলেশকে


মঙ্গলবার রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগণনা শেষ হলে দেখা যায় কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র ১ কম। কংগ্রেসকে সমর্থন ঘোষণা করেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। এর পরই সেরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে বারবার বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী-সহ দলের হাইকম্যান্ড। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও নামানো হয় ময়দানে। 


প্রথম থেকেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন গেহলত। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে আসবে বলে প্রত্যয়ী ছিলেন রাহুল। ওদিকে গত ৫ বছর ধরে রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সচিন পাইলটের ভূমিকাও অস্বীকার করতে পারেনি হাইকম্যান্ড।


ওদিকে সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে রাজস্থানে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন তাঁর সমর্থকরা। কয়েক জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সমর্থকদের শান্ত হতে বলতে হয় সচিন পাইলটকে। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কংগ্রেসের ঘরোয়া কোন্দল যে কোন পর্যায়ে যেতে পারে তা প্রায় সবারই জানা। রাহুল গান্ধীর নির্দেশে জয়ের আবহে সচিন পাইলট হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তাঁর সমর্থকরা ভবিষ্যতে কতটা তা মানবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। সব মিলিয়ে ভোটে জিতে রাজস্থানে ঘরেই বড় পরীক্ষার সামনে কংগ্রেস।