নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলভাবে জিতলেও হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় হাতছাড়া হল বামেদের। টানা আট বছর পর বাম ছাত্র সংসদ হার মানল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কাছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে এবার আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ফেডারেশন ও সেবালাল বিদ্যার্থী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বামেদের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছিল এবিভিপি। অন্যদিকে ছিল আদিবাসী-দলিত-মুসলিম সংগঠনগুলির জোট ইউডিএ এবং এসএফআই। নির্বাচনে ৬টি পদেই জয়ী হয়েছে এবিভিপি। রবিবার রাতে ফল ঘোষণা করা হয়।



আরও পড়ুন-৫ রাজ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা, ভোটগ্রহণ শুরু ১২ নভেম্বর


ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন আরতি এন নাগপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এনিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও ছাত্রী প্রেসিডেন্ট পদ জয়ী হলেন। তিনি পেয়েছেন ১৬৬৩ ভোট। নাগপালের প্রতিদ্বন্দ্বী এসএফআইয়ের এরাম নবীন পেয়েছেন ১৩২৯ ভোট।


ভাইস প্রসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন অমিত কুমার, সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ধীরাজ সাঙ্গোলি, যুগ্ম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ কুমার, কালচারাল সেক্রেটারি হচ্ছেন অরবিন্দ এস কুমার এবং স্পোটস সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিখিল রাজ।


গত আট বছরে নির্বাচনগুলিতে একটি আসনও পায়নি এবিভিপি। তবে এবার জোট করে তারা চমকে দেওয়ার মতো ফল করল।


আরও পড়ুন-রাজ্যের প্রতিটি জেলায় মদের দোকান খুলছে সরকার


টানা দুবছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল গোলমালের পর এবার নির্বাচনের মাধ্যমে এই জয় এল। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ১৭ জানুয়ারি হোস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র রোহিত ভেমুলা। এনিয়ে তোলপাড় হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।


প্রসঙ্গত, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েও ধাক্কা খেয়েছে এবিভিপি। সেখানে অধিকাংশ আসনেই জয়ী হয়েছে সমাজবাদী পার্টির ছাত্র সংগঠন সমাজবাদী ছাত্র সভা ও ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। ফলে এই জয়া এবিভিপির কাছে খুবই বড় সাফল্য মনে করছে রাজনৈতিক মহল।