নিজস্ব প্রতিবেদন— আমের ঝুড়ি পড়ে রয়েছে। আশেপাশে ঝুড়ির মালিক নেই। এই তো সুযোগ! কিছু মানুষ বোধ হয় লুঠ করার মানসিকতাই ভিতরে ভিতরে পুষে রাখেন! আর সুযোগ পেলেই সেই নখ—দাঁত বের করে ফেলেন। দিল্লির রাস্তায় এক গরীব হকারের ১৫ ঝুড়ি আম মুহূর্তে লুঠ হয়ে গেল। দিনে—দুপুরে এণন অমানবিক ঘটনা দেখে অনেকেই ছিঃ বলে উঠছেন। তাতে সেই সব লুঠেরাদের কিছুই যায় আসে না। তাঁরা আম নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। লুঠ করে আনা আম এতক্ষণে হয়তো পরিবার পরিজনের সঙ্গে বসে সাবারও করে ফেলেছেন। কিন্তু গরীব হকারের আফসোসের শেষ নেই। আসলে তিনিও বুঝতে পারেননি, দেশের কিছু মানুষের এমন মানসিকতা! দিনে দুপুরে এভাবে লুঠ হতে পারে, এমন আন্দাজ করতে পারেননি হকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পথচারী, অটোচালক এমনকী মোটরসাইকেল চালক এসেও হেলমেটে ভরে আম নিয়েছে। এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। লুঠেরাদের হুটোপাটিতে ট্রাফিক জ্যাম লেগে গিয়েছিল। নির্লজ্জের মতো সবাই হকারের আম লুঠ করে নিলেন। দিল্লির জগত্পুরি এলাকার ঘটনা। ওই এলাকায় আম বিক্রি করতে এসেছিল ছোটে নামের এক হকার। কিন্তু পুলিস লকডাউন কার্যকর করতে লেগে পড়ে। ছোটে বলেছেন, একজনের থেকে শুনলাম, রাস্তা থেকে সামান্য দূরে একটি স্কুলের পাশে পুলিশের সঙ্গে কারও মারামারি হচ্ছে। এর পর হঠাৎ কয়েকটা লোক এসে আমাকে বলল তোমার ঠেলাগাড়ি এখান থেকে সরাও। না হলে পুলিস তোমাকেও মারবে। আমি আমের ঝুড়িগুলো ফুটপাতে রেখে ঠেলা সরাতে গেলাম কিছুটা দূরে। এসে দেখি সব আম লুট করে পালিয়েছে লোকজন। ১৫টি ঝুড়িতে ৩০ হাজার টাকার আম ছিল। একটা আমও পড়ে নেই। লকডাউনের জন্য এতদিন ব্যবসা বন্ধ রেখেছিলাম। অনেক কষ্টে পুঁজি জোগার করে আম তুলেছিলাম। সব শেষ। পুলিসে জানিয়েছি। কেউ কোনও ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত নেয়নি।


আরও পড়ুন— লকডাউনে সর্বনাশ! ডার্কওয়েবে ফাঁস হয়ে গেল ২.৯ কোটি ভারতীয়-র একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য


লকডাউনে দুঃস্থ মানুষের অবস্থা সব থেকে শোচনীয়। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষজন যমন শ্রমিক, হকারদের দুবেলা খাবার জুটছে না। এমন অবস্থায় দেশের কিছু মানুষ যেন নিজেদের হৃদয় বিকিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। যা পাবেন তাই লুঠ করে নেবেন। অথচ কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ তাঁদের রয়েছে। কিন্তু সুযোগ পেয়েছেন লুঠ করে নেওয়ার। গরীব হকার কী বা করতে পারবে!