নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও এক নির্ভয়া মৃত্যুর কাছে হার মানলেন। শুক্রবার রাত ১১.৪০ নাগাদ সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। যাঁকে এক বছর আগে ধর্ষণ এবং তার বিচার চাইতে গিয়ে দু’দিনে আগে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল দু'দিন আগে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতালের ‘বার্ন ও প্লাস্টিক’ ডিপার্টমেন্টের প্রধান চিকিত্সক শলভ কুমার জানান, রাত ১১.১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন নির্যাতিতা। শেষমেশ ১১.৪০-এ তাঁর মৃত্যু হয়। নির্যাতিতা পুলিসকে বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, রায়বেরলি যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ স্টেশন পৌঁছন। এ দিন ধর্ষণ মামলায় তাঁর শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁকে ধাওয়া করে পাঁচ দুষ্কৃতী। যার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী এবং শুভম ত্রিবেদীও ছিল। তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে নির্যাতিতার পায়ে সজোরে আঘাত করে। গলায় ছুরি চালায়। এরপর পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগা অবস্থা নির্যাতিতা ছুটতে ছুটতে প্রাণ ভিক্ষা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বিমানে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। নির্যাতিতার শরীর ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিত্সকরা জানান।



আরও পড়ুন- শুধু তেলেঙ্গানা নয়, এমনি এনকাউন্টারের ভূরিভূরি উদাহরণ রয়েছে গুজরাত থেকে উত্তর প্রদেশ


গত মার্চে অভিযুক্ত শিবম এবং শুভমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিস। কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ ঘটনার ৪ মাস পর অভিযোগ দায়ের করা হয়। তা-ও আদালতের হস্তক্ষেপে। পাঁচ দিন আগে জামিনে ছাড়া পায় শিবম। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। তাঁর অভিযোগ, যে রাজ্য়ের পুলিস ৪ মাস পর এফআইআর করে, সেখানে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত, প্রশ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের যথাপোযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।