নিজস্ব প্রতিবেদন— এই দুর্যোগের সময় যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন তাঁদের তো মাথায় তুলে রাখা উচিত। সেটা না করে তাঁদের সবরকম কষ্ট সহ্য করতে বাধ্য করা হচ্ছে। চরম অব্যবস্থার শিকার হচ্ছেন খোদ ডাক্তাররাই। থাকতে দেওয়া হচ্ছে যেন নরকে। আর খাবার বলতে যা জুটছে সেটা আর বলার মতো নয়। সরকারের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কয়েকজন চিকিত্সক। তার পর সরকারি কর্তাদের টনক নড়ল। না হলে ডাক্তারদের কোথায় রাখা হচ্ছে, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে বা তাঁদের জন্য ব্যবস্থাপনা কেমন সেসব নিয়ে কোনও হুঁশ ছিল না প্রশাসনের। ভিডিয়ো প্রকাশ হতে অবশ্য তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল প্রশাসন। কিন্তু সরকারি ব্যবস্থাপনার কঙ্কালসার দশা ঢাকা গেল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি জেলার একদল সরকারি চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের রাখা হয়েছিল একটি সরকারি স্কুলে। সেই স্কুলে শৌচাগারের অবস্থা শোচনীয়। ঘরে পাখা নেই। মাঝরাতে কারেন্ট অফ হয়ে গেলে গোটা স্কুল ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে যায়। আর ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ঠাণ্ডা, বাসি পুরি। তাও আবার প্লাস্টিকে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। যে হাসপাতালে ডাক্তাররা করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিতসা করছেন সেখান থেকে এই স্কুল ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত। এক—একটি ঘরে চারটি করে বিছানা পেতে চিকিত্সকদের রাখার ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। এমন হাস্যকর ব্যবস্থাপনা আর সহ্য করতে পারেননি চিকিত্সকরা। শেষমেশ তাঁরা ভিডিয়ো করে প্রকাশ করে দেন। 


আরও পড়ুন— সাংবাদিকদের জন্য 10 লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা হরিয়ানা সরকারের


জেলার মুখ্য মেডিক্যাল আধিকারিককে চিঠি লিখে তাঁদের এই করুণ অবস্থার কথা জানান চিকিতসকরা। এর পর শৌচাগারের বেহাল দশা ভিডিয়ো করে প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে নিম্নমানের খাবারের ভিডিয়ো প্রকাশ করে দেন তাঁরা। এর পরই কাছাকাছি একটি গেস্ট হাউসে চিকিত্সকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। তাঁদের থাকা, খাওয়ার যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু ততক্ষণে চিকিত্সকদের প্রকাশ করা ভিডিয়োতে অব্যবস্থার কথা জানাজানি হয়ে যায়।