নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরাস গণধর্ষনের খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন  সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। এরপরই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে  তাঁর বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের হয় উত্তরপ্রদেশে। সম্প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে ৫ হাজার পাতার চার্জশিট দায়ের করেছে যোগী রাজ্যের পুলিস। যার আওতায় রয়েছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন , তথ্যপ্রযুক্তি আইন-সহ একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা। এতেই শেষ নয়, তিনি সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ নিয়ে সবমিলিয়ে হাথরাস কান্ডে ৭ সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিসের দাবি, তাঁদের গতিবিধি ছিল সন্দেহভাজন।  সেই ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিসের দাবি সিদ্দিক উগ্রপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সদস্য।


প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। যে খবরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। কিশোরীর দেহ পরিবারের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে।  এরপরই শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে।  এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনতেই গ্রেফতার হন সিদ্দিক সহ আরও ৬ সাংবাদিক। সেই থেকে মথুরা জেলে বন্দি তাঁরা।


উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছেন, সংবাদপত্রের কর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন সিদ্দিক কিন্তু তিনি আদতে তা নন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য হাথরাসে গিয়েছিলেন। তবে সিদ্দিকের পাশে দাঁড়িয়েছে কেরল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস। তারা জানিয়েছে বেআইনিভাবে সাংবাদিকদের বন্দি করে রাখছে যোগী রাজ্যের পুলিস।