Gangstar Atiq Ahmed shot Dead: পুলিসের ঘেরাটোপেই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি, প্রয়াগরাজে খুন `গ্যাংস্টার` আতিক ও তার ভাই
Gangstar Atiq Ahmed shot Dead: হাসপাতালে আনা হচ্ছিল মেডিক্য়াল টেস্চের জন্য। ঘিরে ছিল পুলিস। সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরেছিল আতিককে। তাদের সঙ্গ কথাও বলছিলেন আতিক। এর মধ্য়েই গুলি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছেলের পর এবার বাবা ও কাকা। পুলিসের ঘোরাটোপেই গুলি করে খুন উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার ও নেতা আতিক আহমেদ ও তার ভাই আসরফ। মিডিয়া ও পুলিসের সামনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ল দুজনের দেহ। সংবাদমাধ্য়মের প্রয়াগরাজে সামনেই ঘটে গেল ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা।
আরও পড়ুন-সিবিআই হানা দিতেই নতুন দল! রবিবার ঘোষণা প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতার
শনিবার প্রয়াগরাজের এক হাসপাতালে তাদের ২ জনকে নিয়ে আসা হচ্ছিল মেডিক্য়াল টেস্ট করার জন্য। সাংবাদিকরা তাদের দুজনকে একের পর এক প্রশ্নও করছিলেন। আতিক তাদের প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছিলেন। হাত বাঁধা অবস্থায় তাদের দুজনকে ভিড় ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিস। সেই সময়েই সবার চোখের সামনে ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা। আতিকের বাঁ দিকে থেকে একজন তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়। অন্যদিকে, আতিকের ভাই আসরফকে অন্য কেউ একজন গুলি করে। কয়েক মুহূর্তেই ঘটে যায় ওই ঘটনা। হতচকিত হয়ে যায় পুলিস। তবে পুলিসের ঘেরাটোপে এমন একজন হাই প্রোফাইল গ্যাংস্টারকে কীভাবে গুলি করতে পারল আততায়ীরা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। তবে ঘটানায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছ পুলিস।
আতিকের উপরে গুলি চালানোর পরই পরপর গুলির আওয়ার শোনা যায়। একজন পুলিসকর্মী আহত না হলেও গুলি খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় ২ জন। তার পর তাদের ২ জনতে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে থাকে তিনজন। পুলিস সঙ্গে সঙ্গেই ৩ জনকে ধরে ফেলে। গোটা ঘচনা ধরা পড়ে মিডায়ার ক্যামেরায়।
২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল মার্ডার কেসের আসামী আতিক আহমেদ। এবৎ ফেব্রুয়ারি মাসে উমেস পাল মার্ডের কেসের চার্জও রয়েছে তার মাথার উপরে। একদিন আগেই তার ছেলেকে এনকাউন্টারে মারে পুলিস।
আতিকের আইনজীবী বিজয় মিশ্র সংবাদমাধ্য়মে বলেন, খুব কাছ থেকে ভিড়ের ভেতর থেকে আতিক ও তার বাইকে গুলি করা হয়। যখন গুলি চলে তখন পাশেই ছিলাম। এমন ভয়ংকর ঘটনার নিন্দা করেছেন মিম প্রধান আসাদ উদ্দিন ওয়েসি। তিনি টুইট করেছেন, পুলিসি হেফাজতে থাকা অবস্থায় খুন করা হয়েছে আতিক ও তার ভাইকে। খুনের পর জয় শ্রীরাম স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এই খুন যোগীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্পূর্ণ ব্যর্থতার নজির। যারা এনকাউন্টারে খুশি হন তারও এই ঘঠনায় সমান দায়ী। যেখানে মানুষ এনকাউন্টারে খুশি হয় সেখানে আইনের প্রয়োজন কি?