নিজস্ব প্রতিবেদন: উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিতে রাজি উত্তর প্রদেশের পুলিস। সোমবার এমনটা জানালেন সে রাজ্যের ডিজিপি ওপি সিং। লখনউয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ওপি সিং জানান, রবিবারের দুর্ঘটনার পর এই তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত প্রশাসন। উল্লেখ্য, গতকাল গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতার পরিবারের দুই সদস্য। নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবী আশঙ্কজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার মা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অন্য একটি মামলায় জেলবন্দি কাকাকে রবিবার দেখতে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। এ দিন দুপুরে রায়বরেলির গুরুবাক্ষগঞ্জের কাছে একটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা হয় নির্যাতিতাদের গাড়িটি। ওই গাড়িতে নির্যাতিতা, তাঁর দুই কাকিমা এবং আইনজীবী ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুই কাকিমার। গাড়ির চালক পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস দুর্ঘটনা বললেও, এর পিছনে অন্য কোনও অভিসন্ধি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন- ই-যান বাধ্যতামূলক করার সময়সীমা এখনই বেঁধে দিচ্ছে না সরকার: নির্মলা সীতারমন


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চাকরি দেওয়ার নাম করে নিজের বাড়িতে ১৫ বছরে ওই নাবালিকাকে কুলদীপ সেনগার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।  নির্যাতিতার পরিবার জানায়, পুলিসে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। উলটে নির্যাতিতার বাবাকে মিথ্যে মামলায় জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে নির্যাতিতা ও তাঁর মা গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।


কাকতালীয়ভাবে, সে সময়ই জেলেতে নির্যাতিতার বাবার সন্দেহজনকভাবে মৃত্যু হয়। বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগারের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জেলের মধ্যেই নির্যাতিতার বাবাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।