নিজস্ব প্রতিবেদন- রাজধানীর কাছেই গাজিয়াবাদের ঘটনা। প্রকাশ্যে এক সাংবাদিককে গুলি করেছিল আততায়ীরা। দুদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেশ হার মানলেন সেই সাংবাদিক। ২৩ জুলাই রাত দশটা নাগাদ  গাজিয়াবাদের বিজয় নগরের কাছে দুই মেয়েকে নিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক জোশি। সেই সময় হঠাত্ করেই তাঁর উপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতি। তাঁকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। সেই সময় বিক্রম যোশীর সঙ্গে ছিল তাঁর দুই মেয়ে। তারা ভয়ে প্রথমে পালিয়ে যায়। এর পর বাবাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে তারা এগিয়ে এসে চিত্কার করতে শুরু করে। তার পরই বিক্রম যোশীর মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতিরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়েক দিন আগে তাঁর ভাইঝিকে বিরক্ত করার জন্য কয়েক জনের নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। এর পরই তাঁর উপর হামলা চালায় সমাজবিরোধীরা। বাইক থেকে টেনে নামিয়ে মেয়েদের সামনেই ওই সাংবাদিকের মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতিরা। বুধবার ভোর চারটের সময় তিনি প্রাণ হারান। উত্তরপ্রদেশের অইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এর আগেও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। আরও একবার যোগীর রাজ্যে পুলিস-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল। জানা গিয়েছে, ওই ঘটনা জড়িত সন্দেহে মোট নজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখেই পুলিস তদন্ত শুরু করেছিল।


আরও পড়ুন-  অসুস্থ বাবা শুয়ে, স্ট্রেচার ঠেলছে ছোট্ট ছেলে! সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এক ছবিতে পরিষ্কার


গাজিয়াবাদের একটি স্থানীয় পত্রিকা কাজ করতেন বিক্রম। উত্তরপ্রদেশের সরকার বিক্রম জোশির পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা ও স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বিক্রম জোশির পরিবারের লোকজন দোষীদের শাস্তির জোড়ালো দাবি তুলেছেন। এমনকী তাঁরা দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বিক্রমের মৃতদেহ নিতেও অস্বীকার করেছেন। এরই মধ্যে বিক্রম জোশির মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। রাহুল গান্ধি টুইট করে যোগীর প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি উত্তরপ্রদেশের আইন-কানুন জঙ্গলরাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন।