নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলের মৃত্যুর খবর ধামাচাপা দিয়েও শেষমেশ পুলিসের কাছে ধরা পড়ে গেলেন বিধায়কের স্ত্রী। পরে স্বীকার করতে বাধ্য হন, নিজেই শ্বাসরোধ করে খুন করেন ছেলেকে। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশে। ইউপি বিধায়ক রমেশ যাদবের স্ত্রী মীরা যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধায়ক রমেশ যাদবের দার-উল-সাফার বাড়িতেই রবিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ২২ বছরের ছেলে অভিজিত্কে। মৃত্যুর কারণ কী? রমেশের স্ত্রী মীরা দেবী তাঁর পরিবার এবং প্রতিবেশীদের জানান, শনিবার অনেক রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন অভিজিত্। বাড়িতে ঢুকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। মীরা দেবী দাবি করেন, ছেলের বুকে মালিশ করে দেন কিছু ক্ষণ। কিন্তু অভিজিত্ আর জেগে ওঠেনি।


আরও পড়ুন- কেরলে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণকাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী ফাদার খাট্টুথারার রহস্যমৃত্যু, পরিবারের দাবি খুন


গল্পটা বেশ সাজালেও শেষমেশ ভেস্তে যায় ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির ভুল চালে। অভিজিতের মৃত্যু স্বাভাবিক কিনা সন্দেহ হয় পুলিসের। দেহটিকে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। রিপোর্টে জানা যায়, শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে অভিজিতের। এর পর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সন্দেহের কেন্দ্রে থাকা বিধায়কের স্ত্রী মীরা দেবীকে চাপ সৃষ্টি করলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর স্বীকার করে নেন মদ্যপ ছেলেকে নিজের হাতেই খুন করেছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে মীরা যাদবকে। কয়েকদিন আগেই রাজ্যে পর্যটন দফতের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মীরা দেবী। কী কারণে ছেলেকে খুন করলেন মীরা? জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস।