নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতাল আছে। চিকিৎসা নেই। আর তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানেও ভরসা উঠছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এই গ্রামবাসীদের। কোভিডের প্রাদুর্ভাব গোটা গ্রামে। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে অমিল বেড, প্রাথমিক চিকিৎসা। আর তাই অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে নিমগাছের তলাতেই আশ্রয় নিচ্ছেন গ্রামের কোভিড আক্রান্তরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ঘণ্টা দেড়েক দূরে অবস্থিত উত্তরপ্রদেশের মেওলা গোপালগড় গ্রাম। গ্রামে নেই চিকিৎসক। সরকারি হাসপাতালের বেহাল দশা। গাছের তলায় খাটিয়া পেতে শুয়ে রয়েছেন গ্রামের করোনা আক্রান্তরা। গাছের ডাল থেকেই ঝুলছে স্যালাইন। যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে সিরিঞ্জ, ওষুধের প্যাকেট। তাঁরই মাঝে চড়ে বেড়াচ্ছে গোরু। ঠিক এমনই চিত্র যোগীরাজ্য়ে। 


 



গ্রামবাসীদের বিশ্বাস নিমগাছের নীচে শুয়ে থাকলে অক্সিজেন লেভেল (Oxygen Level) দ্রুত বাড়বে। যদিও বাস্তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। গ্রামের এক বাসিন্দা সঞ্জয় সিং বলেন, 'শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গ্রামবাসীদের গাছের তলায় থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।' কিছুদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সঞ্জয়ের নিজের বাবাই মারা যান। যদিও তাঁর করোনা টেস্ট হয়নি বলেই জানানো হয়। তিনি বলেন, 'এখানে একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের দেখার কেউ নেই। গ্রামের মানুষ নিজে থেকে যতটা পারেন করছেন।' গ্রামের প্রাক্তন মোড়ল অবশ্য জানান, 'গ্রামে কোনো করোনার টেস্টই হচ্ছে না। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম কিন্তু ওঁরা ব্যবস্থা করেনি।'


আরও পড়ুন: Corona-র দ্বিতীয় ঢেউ ২ মাসে কাড়ল ২৬৯ ডাক্তারের প্রাণ, গতবছর ১০০০
আরও পড়ুন: মোদী সরকারের সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্প একটি ‘মৃত্যুদুর্গ’! বিস্ফোরক মন্তব্য আইনজীবীর