নিজস্ব প্রতিবেদন: উপ রাষ্ট্রপতি আয়োজিত ব্রেকফাস্ট পার্টি বয়কট করল কংগ্রেস। শুক্রবার সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে এই পার্টির আয়োজন করেছিলে বেঙ্কাইয়া নাইডু। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার সহ সভাপতি নির্বাচনের পর উচ্চকক্ষের সাংসদদের সেই আয়োজনে আমন্ত্রণ জানান তিনি। কিন্তু শুক্রবার সকালে বেঙ্কাইয়ার ব্রেকফাস্ট পার্টিতে দেখা যায়নি কংগ্রেসের কোনও সাংসদকে। দলের পক্ষে জানানো হয়েছে, বেঙ্কাইয়ার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্যই  তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি কংগ্রেস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য়সভার নবনির্বাচিত সহ সভাপতি হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মানে এদিন সকাল ৯.৩০ মিনিটে ব্রেকফাস্ট পার্টির আয়োজন করেছিলেন সদনের সভাপতি তথা উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। 
কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যসভায় রাফালে চুক্তিতে দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেস সাংসদদের বলার সুযোগ দিচ্ছেন না বেঙ্কাইয়া। ফলে বিপুল অংকের এই দুর্নীতি মানুষের সামনে আসছে না। তাছাড়া সরকার গুরুত্বপূর্ণ নানা বিল বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সংসদে পেশ করছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের। 


কংগ্রেস প্রার্থী হারার পরও বিরোধী ঐক্য নিয়ে আশাবাদী সনিয়া


লোকসভা ও রাজ্যসভায় সরকার বিরোধীদের গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছে কংগ্রেস। সম্প্রতি মণিপুরে ন্যাশনাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির গঠন সংক্রান্ত একটি বিল বিরোধীদের আপত্তি সত্বেও রাজ্যসভায় পেশ করে সরকার। হোমিওপ্যাথি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের ফেরবদল সংক্রান্ত বিল নিয়েও আপত্তি রয়েছে কংগ্রেসের। 


বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে শুক্রবারও জারি ছিল এই বিবাদ। এদিন সংসদে তিন তালাক বিরোধী বিলের সংশোধনী পেশ করে সরকার। এই সংশোধনী অনুসারে বিচার শুরুর আগে অভিযুক্তের গ্রেফতারি বাধ্যতামূলক নয়। কংগ্রেসের দাবি, অধিবেশনের শেষ দিনে এভাবে বিল পাশ করানো অনুচিত। 


২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তাবিত বিজেপি বিরোধী জোটে থাকবে না আপ: কেজরিওয়াল


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে যদিও হারের পর মুখ বাঁচাতে এদিন বেঙ্কাইয়ার ডাকা পার্টি বয়কট করে কংগ্রেস। চলতি অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদে একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে মুখ পুড়েছে বিরোধীদের। হাসতে হাসতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। অধিবেশনের মাঝে একাধিক দল কংগ্রেসের হাত ছেড়ে যোগ দিয়েছে শাসক শিবিরে। এর মধ্যে অন্যতম তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। ফলে ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বিরোধী জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অধিবেশনের শেষে রাজ্যসভার সহ-সভাপতি নির্বাচনেও ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনে লড়ে হার হয়েছে তাদের। ওদিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-থাকলেও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শাসক শিবির।